লেপ-তোষক দোকানীদের দশমিনায় কর্মচা ল্য

ডিসেম্বর ১৯ ২০২০, ১৮:৪৩

Spread the love

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনায় আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথেই লেপ-তোষক প্রস্তুুতকারী দোকানীদের মাঝে কর্মচা ল্য ফিরে এসেছে। শীতের ঠান্ডা আর ভোরে শীতল সিগ্ধ বাতাস। সাত-সকালে ঘাস-পাতার ওপর জমে থাকা শিশির কণা জানিয়ে দেয় শীতের আগমনী বার্তা। শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথে উপজেলায় লেপ-তোষক প্রস্তুুতকারীর মাঝে কর্মচা ল্য ফিরে এসেছে। লেপ-তোষক প্রস্তুুতকারী দোকানীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। একই সঙ্গে গ্রামের বিভিন্ন পরিবারে পড়ে গেছে কাঁথা

 

সেলাইয়ের ধুম। লেপ-তোষক প্রস্তুুতকারী বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মালিক-শ্রমিক এখন লেপ-তোষক তৈরির সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তারা জানান, শীত মৌসুমের শুরুতেই ক্রেতারা দোকানে পছন্দমতো লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, ভালো মুনাফা এবং বেশি বিক্রির আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ক্রেতারাও লেপ-তোষক তৈরির জন্য ভিড় করছেন। উপজেলার ছোট-বড় হাটবাজারগুলোয় জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক তৈরি ও বিক্রির কাজে শতাধিক ব্যবসায়ী নিয়োজিত রয়েছেন। তবে এবার তুলার দাম অনেক বেশি। কালার তুলা প্রতিকেজি ৫০টাকা, মিশালী তুলা ৪০টাকা, সিম্পল তুলা ৮০টাকা, শিমুল তুলা ৩শ’ ৬০ টাকা ও সাদা তুলা ১শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

 

দশমিনায় লেভ-তোষক দোকানী বাদল জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রি হয় বেশি। তিনি আরও বলেন উপজেলায় প্রায় শতাধিক লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানের কারিকররা এখন খুবই কর্মব্যস্ত। সময়মতো লেপ-তোষক ডেলিভারি দেয়ার জন্য এখন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে আমাদের। সারা বছরের মধ্যে এ শীত মৌসুমেই কাজের বেশি অর্ডার। ফলে এ সময় তাদের কাজ বেশি করতে হয়। এক মৌসুমের আয় দিয়েই তাদের পুরো বছর চলতে হয়।

 

এদিকে শীত মৌসুম শুরুতেই বিভিন্ন গ্রাম্য পরিবারের গৃহবধূরা কাঁথা সেলাই শুরু করে দিয়েছেন। অনেক পরিবারই রয়েছে যারা কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। উপজেলার বহরমপুর গ্রামের ধলা বিবি জানান, উপজেলার অনেক

 

মধ্যবিত্ত পরিবার শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের কাছে কাঁথা সেলাই করে দেয়ার জন্য কাপড় সরবরাহ করেন। নকশা ভেদে এক একটি কাঁথা সেলাই করতে মজুরি বাবদ নেয়া হয় সাড়ে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। সাংসারিক ঝক্কিঝামেলা থাকলেও তার মতো অনেক গৃহবধূ কাজের ফাঁকে ফাঁকে এভাবে প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ টি কাঁথা সেলাই করে নগদ আয় করছেন। অপরদিকে গরীব পরিবারের মহিলারা পুরান শাড়ি, লুঙ্গি দিয়ে কাঁথা তৈরি করে চলেছেন। তাদেরও লেপ- তোষকের স্বাদ থাকলেও অনেকের সাধ্য না থাকায় তারা রং-বেরঙের সুতা দিয়ে কাঁথা বুনে চলেছেন।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »