বাউবি-এমবিএ-বাংলা

এ্যাসাইনমেন্ট কর্পোরেট অর্থায়ন

Spread the love

আজকের ঝলক শিক্ষা ও সংস্কৃতি : 

অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধির হার : অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধির হার যে কোনো ধরনের বহি:অর্থসংসথান ছাড়া সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করে। এটিকে আমরা অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধির হার বলব, কারণ ফার্ম অভ্যন্তরীণ আর্থিক নীতির মাধ্যমে তা করতে পারে। আমরা লক্ষ করলে দেখব প্রবৃদ্ধির হার যখন ১০% এর কম তখন এটি এমন হবে। বীজগাণিতিক সমীকরণের মাধ্যমে আমরা আরও নিখুঁতভাবে প্রবৃদ্ধির হারকে সংজ্ঞায়িত করতে পারি।

 

 

প্রবৃদ্ধির নিয়ামক সমূহ নীচে আলোচনা করা হলো :

প্রবৃদ্ধির নিয়ামকসমূহ বা নির্ধারণকারী উপাদানসমূহ উবঃবৎসরহধহঃং ড়ভ এৎড়ঃিয ডুপন্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা জঙঊ কে বিভিন্ন উপাদানে বিয়োজিত করতে পারি। যেহেতু টেকসই প্রবৃদ্ধির হার নির্ণয়ে জঙঊ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেহেতু জঙঊ নির্ণয় করার উপাদানসমূহ প্রবৃদ্ধি নির্ণয় করারও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জঙঊ তিনটি উপাদাণের গুণফল। জঙঊ = মুনাফার হারদ্ধমোট সম্পত্তি আবর্তনদ্ধইক্যুইটির গুনক। টেকসই প্রবৃদ্ধির হারকে যদি আমরা পরীক্ষা করি তাহলে দেখব কোন কিছু যা জঙঊ এর বৃদ্ধি ঘটায় তা টেকসই প্রবৃদ্ধির হারকেও বৃদ্ধি করে। উপরের অংশে বাড়িয়ে এবং নিচের অংশে কমিয়ে। সংরক্ষণ আয় অনুপাত বাড়ালে ও একই প্রভাব হবে। সবকিছুকে একসাথে করলে আমরা দেখব নি¤েœর চারটি উপাদানের উপর ফার্মের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার সক্ষমতা নির্ভর করে।


১. মুনাফার হার(চৎড়ভরঃ গধৎমরহ): মুনাফার হার বাড়লে ফার্মের অভ্যন্তরীণ তহবিল গঠন করার সক্ষমতাও বেড়ে যায় এবং এভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধিও বাড়ে।

২. লভ্যাংশ নীতি : নিট আয়ের শতকরা হার যা লভ্যাংশ হিসেবে প্রদান করা হয় তা কমিয়ে সংরক্ষণ অনুপাত বাড়ানো যায়। এভাবে নিজস্ব ইক্যুইটি বাড়ানো যায় এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি হারও বাড়ানো যায়।

৩. আর্থিক নীতি: দায়-ইক্যুইটি অনুপাত বাড়িয়ে ফার্মের আর্থিক লিভারেজ বাড়ানো যায়। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ঋণ অর্থায়ন পাওয়া যায় যা টেকসই প্রবৃদ্ধির হারকে বৃদ্ধি করে।

৪. মোট সম্পদের আবর্তন : ফার্মের মোট সম্পদের আবর্তন বাড়লে বিক্রয়ের পরিমাণও বাড়ে। এটি ফার্মের নতুন সম্পদের চাহিদা কমায় যা বিক্রয় বাড়ায় ফলে টেকসই প্রবৃদ্ধির হার বাড়তে থাকে। লক্ষ্য করুন, মোট সম্পদের আবর্তন বাড়া মূলধন নির্ভরতা কমার মতই এক। টেকসই প্রবৃদ্ধির হার পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা এটি ফার্মের চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে বাহ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। মুনাফার হার দ্বারা ফার্মের পরিচালনগত দক্ষতা পরিমাপ করা হয়, মোট সম্পদের আবর্তন দ্বারা সম্পদের ব্যবহার করার দক্ষতা পরিমাপ করা হয়, সংরক্ষণ অনুপাত দ্বারা লভ্যাংশ নীতি পরিমাপ করা হয় এবং দায়-ইক্যুইটি অনুপাত দিয়ে আর্থিক নীতি পরিমাপ করা হয়।

https://www.youtube.com/watch?v=WGVjKqK_Rpw&list=RDMMWGVjKqK_Rpw&start_radio=1

টেকসই প্রবৃদ্ধির হার হচ্ছে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির হার, যা ঋণ-ইক্যুইটি অনুপাত স্থির রেখে কোনো বহি: ইক্যুইটি অর্থায়ন ছাড়াই অর্জন করা যায়। আর্থিক পরিকল্পনার প্রাথমিক সুবিধা হলো এটি ফার্মের বিভিন্ন লক্ষ্যের মাঝে অভ্যন্তরীণ সামঞ্জস্যতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। টেকসই প্রবৃদ্ধির হারের ধারণা এ উপাদানটিকে সুন্দরভাবে ধারণ করে। এছাড়াও আমরা এখন দেখব কীভাবে একটি আর্থিক পরিকল্পনার মডেল একটি পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধির হারের বাস্তবায়ন যোগ্যতা পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। যদি বিক্রয় টেকসই প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি হারে বাড়ে তবে ফার্মের মুনাফার হার বাড়াতে হবে, মোট সম্পদের আবর্তন বাড়াতে হবে, আর্থিক লিভারেজ বাড়াতে হবে, আয়ের সংরক্ষণ বাড়াতে হবে অথবা নতুন শেয়ার বিক্রয় করতে হবে।

সানোফি লি: এর ইক্যুইটির উপর মুনাফার হার ১৩.১% এবং লভ্যাংশ প্রদান অনুপাত ৪০%

(ক) কোম্পানীটির টেকসই প্রবৃদ্ধির হার :

আমরা দেখলাম হফম্যান কোম্পানি যদি প্রতি বছর ৯.৬৫% এর চেয়ে বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চায়, তবে তাকে বহি:অর্থসংস্থান করা লাগবে। টেকসই প্রবৃদ্ধির হার যেটি নিয়ে আমরা আগ্রহী সেটি হলো একটি ফার্ম একটি স্থির দায়-ইক্যুইটি অনুপাত বজায় রেখে কোন বহি:ইক্যুইটি সংস্থান না করে সর্বোচ্চ কতো হারে প্রবৃদ্ধি অজর্ন করতে পারে। এ হারকে সাধারণত টেকসই প্রবৃদ্ধির হার বলে, কারণ এর মাধ্যমে একটি ফার্ম তার সামগ্রিক আর্থিক লিভারেজ না বাড়িয়ে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে।

সানোফি লি: এর প্রবৃদ্দির হার :
ইকুইটি মুনাফার হার =১৩.১%
লভ্যাংশ প্রদান অনুপাত হার =৪০%
রিটেশন রেট =(১০০/-৪০%)=৬০%
টেকসই প্রবিদ্দির হার =১৩.১%৬০%
= .০৭৮৬১০০%
= ৭.৮৬%
সুতারং সানোফি লি: এর প্রবৃদ্দির হার ৭.৮৬%

খ. টেকসই প্রবৃদ্ধির হার নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা:
টেকসই প্রবৃদ্ধির হার বের করার সময় আমরা হরের অংশে জঙঊ দ্ধন ব্যবহার করি। এটি কিছুধাঁধা তৈরি করে, যা আমরা এখানে পরিষ্কার করব। বিষয়টি হচ্ছে আমরা কীভাবে জঙঊ নির্ণয় করেছি। জঙঊ নিট আয়কে মোট ইক্যুইটি দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায়। যদি মোট ইক্যুইটি সমাপনী উদ্বৃত্তপত্র থেকে নেয়া হয় তাহলে আমাদের সূত্রটি সঠিক। যাই হোক, যদি মোট ইক্যুইটি প্রারম্ভিক মেয়াদ থেকে নেয়া হয় তবে সহজ সূত্রটি সঠিক। নীতিগতভাবে যে কোন ভাবেই আমরা জঙঊ নির্ণয় করি না কেন আমরা ঠিক একই টেকসই প্রবৃদ্ধির হার পাব। কিন্তু বাস্তবে হিসাব সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কিছুবৈসাদৃশ্য পাব। যাহোক আমরা যদি প্রারম্ভিক ও সমাপনী ইক্যুইটির গড় ব্যবহার করি তবে অন্য একটি সূত্রের প্রয়োজন। একই ভাবে আমাদের সকল মন্তব্য অভ্যন্তরীণ প্রবৃদ্ধির হারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

গ. কোম্পানীটির যেভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে পারে
টেকসই প্রবৃদ্ধির হার:
টেকসই প্রবৃদ্ধির হার =
যেখানে জঙঊ= ইক্যুইটির উপর মুনাফার হার =
ন= সংরক্ষণ অনুপাত =

টেকসই প্রবৃদ্ধির হার হচ্ছে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির হার, যা ঋণ-ইক্যুইটি অনুপাত স্থির রেখে কোনো বহি: ইক্যুইটি অর্থায়ন ছাড়াই অর্জন করা যায়। আর্থিক পরিকল্পনার প্রাথমিক সুবিধা হলো এটি ফার্মের বিভিন্ন লক্ষ্যের মাঝে অভ্যন্তরীণ সামঞ্জস্যতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। টেকসই প্রবৃদ্ধির হারের ধারণা এ উপাদানটিকে সুন্দরভাবে ধারণ করে। এছাড়াও আমরা এখন দেখব কীভাবে একটি আর্থিক পরিকল্পনার মডেল একটি পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধির হারের বাস্তবায়ন যোগ্যতা পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। যদি বিক্রয় টেকসই প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি হারে বাড়ে তবে ফার্মের মুনাফার হার বাড়াতে হবে, মোট সম্পদের আবর্তন বাড়াতে হবে, আর্থিক লিভারেজ বাড়াতে হবে, আয়ের সংরক্ষণ বাড়াতে হবে অথবা নতুন শেয়ার বিক্রয় করতে হবে।

এমবিএ বাংলা মাধ্যম শুরু হয় ২০১৯ থেকে



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »