আজকের ঝলক নিউজ

বিয়ে করেছিলাম আবার ডিভোর্সও দিয়েছি: এমপি এনামুল

Spread the love

আজকের ঝলক: নিজস্ব সংবাদদাতা

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এনামুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে সামনে এসেছেন লিজা আক্তার আয়েশা নামে এক নারী।

শুধু তাই নয়, এমপির বিচার চাইতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলেও জানান তিনি। আজ সোমবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে এমন পোস্ট দিয়ে আলোচনায় এসেছেন এই নারী। তবে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এমপি এনামুল। তিনি বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এমপি বলেছেন, ‘এই মহিলাকে আমি ২০১৮ সালে বিয়ে করেছিলাম।

ডিভোর্স করেছি গত মাসে। এখন কী বক্তব্য থাকতে পারে। এখন যেগুলো করছে, সেটা চাঁদাবাজির জন্য করছে।’ এর আগে এমপি এনামুলের সঙ্গে একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন লিজা আক্তার আয়েশা। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। ওই নারীর বাড়ি নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায়।

সোমবার দুপুরে দেওয়া এক পোস্টে লিজা আক্তার আয়েশা লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই ভাবছেন আমি থেমে গেসি। আমি থেমে যাই নাই। মাননীয় সংসদ সদস্যের ভক্তরা আমাকে মে’রে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মা’মলা দিয়ে আমাকে জেলে দেওয়া হবে এমন বলছেন এবং মাননীয়সংসদ সদস্যগতকাল আমাকে বলেছেন, আমি গণমাধ্যমে এসেছি তাই আমাকে আজ উনি ডিভোর্স দিবেন।

সব মিলিয়ে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। তবে আমি থেমে নেই, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর কাছে যাবো এবং এর বিচার চাইবো। আপনারা সকলেই আমাকেসহযোগিতা করেছেন, পাশে থেকেছেন, আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। র আগে গত শনিবার (৩০ মে) ওই নারী ফেসবুকে লিখেন, ‘এমপি সাহেবের রক্ষিতা বা প্রেমিকা নই, দ্বিতীয় বউ আমি।’

আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘এমপি সাহেব আমার হাজব্যান্ড এই কথাটা যদি কারও কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়, তারা বিয়ের কাগজ দেখতে পারেন। এর দুই ঘণ্টা পরে আরেকটি পোস্টে লিজা আক্তার আয়েশা লিখেন, একজন সংসদ সদস্য অনেক বড় অবস্থানের মানুষ। তার বিরুদ্ধে চাইলেই কেউ মি’থ্যা অপবাদ দিতে পারে না।

আমার কথাগুলো যদি মি’থ্যা হইতো তাহলে এতক্ষণে পুলিশ আমাকে থা’নায় নিয়ে যেত। আমি যা কিছু বলছি এবং বলব সব সত্যি। আপনারা আমাকে বিরক্ত না করে ধৈর্য ধরে পাশে থাকুন। আরেকটি পোস্টে এই নারী লিখেন, ‘২০১৮ সালের ১১ মে আমাদের বিয়ে হয়। প্রথমে আট বছর আগে আমাদের বিয়ে হয় মৌখিকভাবে। তার বাগমারার বাড়িতে। কিন্তু লিখিত বিয়ের পর গত দুই বছর ধরে তিনি আমাকে গোপনে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে আসছেন। এখন তিনি একটি ভুয়া কাগজ করে আমাকে তালাক দিয়েছেন।

সেখানে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এ কারণে আমি পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমি ফেসবুকে এসব কথা বলেছি। আমি আমার সংসার করতে চাই আমার স্বামীর সঙ্গে। ফেসবুকে এমপি এনামুলের সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি বিয়ের কাবিননামাও পোস্ট করেছেন লিজা। তিনি দাবি করেন, ‘আমার স্বামী ভুয়া কাগজ করে আমাদের তালাক হয়েছে বলে দাবি করছেন।

আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করতে চাই। এ কারণে নগরীর রাজপাড়া থা’নায় আমি মা’মলা করতে গেছিলাম শুক্রবার। কিন্তু থানা পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। তবে আমি আমার স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই। তাকে না পেলে আমি আইনের আশ্রয় নেব। ছবি : সংগৃহীত ।