বরগুনার লঞ্চ ট্রাজেডী -ঝালকাঠীতে

১ মিনিটে লেগে যায় আগুন; অভিযান ১০

ডিসেম্বর ২৫ ২০২১, ১৩:৩৬

Spread the love

আজকের ঝলক নিউজ

বেঁচে যাওয়া এক নারী জানান, আগুন যখন এখানে আসছে, আমি ঘুমে ছিলাম, বিকট একটা শব্দ আসছে, আমার ছেলে ১৩ বছর বয়স, এ বছর এইটে পরীক্ষা দিছে

 

‘ নৌ-পথের সকল উপজেলায় নৌ-ফায়ার সার্ভিস চাই ! ঝালকঠির দিয়াকুল ট্র্যাডেজী !!! ঝালকাঠি জেলায় কোন নৌ-ফায়ার সার্ভিস নেই ! ছবির সঙ্গে মিলিয়ে পুড়ে যাওয়া লাশ শনাক্ত করছেন স্বজনেরা , দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, এটা পড়ে খুঁজলেও চলবে , যারা ঘুমের মধ্যে নরক যন্ত্রণা ভোগ করে যারা মারা গেলেন তাদের দায়িত্বকে নেবে ! কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং লঞ্চ মালিকদের ব্যবসায়িক লাভের উম্মাদনা এতটাই বেপোড়োয় যে তারা যাত্রীদের লঞ্চে উঠানোর পর আর মানুষ বলে মনে করেন না ! যতদিন এই লঞ্চ মালিকদের কোন বিচার না হবে ততদিন শুধু আহাজারী আর কান্নার রোল আকাশ বাতাসই ভারী হবে, পারস্পরিক দোষারোপ না করে বিআইডব্লিউটিএ সঠিক দায়িত্ব পালন করলে এই ধরনের দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে !

বেঁচে যাওয়া এক নারী জানান, আগুন যখন এখানে আসছে, আমি ঘুমে ছিলাম, বিকট একটা শব্দ আসছে, আমার ছেলে ১৩ বছর বয়স, এ বছর এইটে পরীক্ষা দিছে। ওরে আমি উঠাইছি। ও তো লম্বা হয়ে গেছে, ওরে টাইন্না এইখান থেকে ওইখানে নিছি। মানুষ আর মানুষ। ছেলে তো সাঁতার জানে না, যখন সবাই লাফ দেয়, আমার তো লাফ দেওয়ার সাহসই নাই, ছেলে বাঁচবে না, আমি বেঁচে কী করব?” “আমরা দোয়া কালাম পড়ে রেডি হইছি, বাচ্চারে কোলে নিছি, আর কোনোদিন দেখা হবে না। কেয়ামতের দিন দেখা হইলে বাবা, তোমারে ভালো রেজাল্টের জন্য কত মারছি, তুমি আমারে ক্ষমা কইরে দিও। আমার ছেলে অমারে ধইরে বসছে চুমু দিয়া, বলে ‘আম্মু, তোমারে ছাড়া বাঁচব না’। ও লাফ দিছে, আমি বোরকা ছিড়ড়া ঝাঁপ দিছি। আমি মনে হয় ৫ ফুট না কয়ফুট গেছি জানি না, হঠাৎ কইরা ভাইসা উঠছি, সাঁতার দিয়া ছেলেরে ধরছি। শেষ পর্যন্ত নদীতে লাফ দিয়ে বেঁচে যান ওই নারী ও তার ছেলে| – মানব জমীন পুড়ে যাওয়া লঞ্চে বেঁচে যাওয়া একজন যাত্রীর কথা। জিবন কতটা বিচিত্র বেঁচে থাকার আলো নিবে গিয়েও জলে উঠে!?

বরগুনায় নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে মিডিয়া মোবিলাইজেশন



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »