আজকের ঝলক নিউজ

প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা জরুরী

Spread the love

আজকের ঝলক নিউজ :

প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা অত্যান্ত জরুরী । নিজেকে জানতে হলে জানতে হবে সবার আগে প্রজনন স্বাস্থ্য ।

প্রজনন স্বাস্থ্য কি : 

আমরা জানি প্রত্যেকটি প্রাণীর সন্তান ধারণের সক্ষমতা আছে তেমনি মানুষেরও আছে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা । প্রজনন অর্থ হলো জন্ম দেওয়া । অর্থাৎ প্রজনন শব্দটি জন্ম দেওয়ার ক্ষমতার উপরে নির্ভর করে । তার মানে স্পষ্ট যে জন্মদানের উপাদানগুলোর সাথে স্বাস্থের যে সম্পর্ক তা হলো প্রজনন স্বাস্থ্য যার সাথে প্রজনন সক্ষতমা ও সুস্থতা জড়িত । 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রজনন স্বাস্থ্যের সংজ্ঞাকে এভাবে উত্থাপন করেছে – ‘প্রজনন স্বাস্থ্য শুধুমাত্র প্রজননতন্ত্রের কার্য এবং প্রজনন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত রোগ বা অসুস্থতার অনুপস্থিতিকেই বোঝায় না, এটা শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক কল্যাণকর এক পরিপূর্ণ সুস্থ্য অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পাদনের একটি অবস্থাকে বোঝায়’।

প্রজনন স্বাস্থ্যর প্রধান পরিচিতি :

বাবা-মাকে বেঁধে মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

মেয়েদের মাসিক :

একজন নারী প্রথমে তার প্রজনন সক্ষমতার পরিচয় দেন যখন তার মাসিক শুরু হয় । তার মানে মাসিক শুরু হওয়ার আগ অবধি কোনো নারী প্রজনন ক্ষমতার অধিকারী হয়না ।

মাসিক সম্পর্কে মেয়েদের জানানো :

মাসিককালীন শাররীকি যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ । মাসিক হওয়ার সাথে সাথে যাতে নির্ভর যোগ্য কারো কাছ থেকে মেয়েকে মাসিক সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয় মেমন (মা, বাবা, ভাই, বোন, খালা, ফুফু) মেয়েকে জানিয়ে দিন এটি একটি স্বাভাবিক নিয়ম এটি সকল নারীদের হয়ে থাকে ।

মাসিক কালীন পরিস্কার পরিছন্নতা : মাসিকের সময় অপরিস্কার কাপড় ব্যবহার করলে বিভিন্ন রোগ জীবানু শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন চর্ম ও যৌন রোগ হতে পারে তাই মাসিক কালীন পরিস্কার কাপড় বা স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে ।

মাসিককালীন খারাবার ও শরীরের যত্ন :

মাসিকের সময় শরীর থেকে প্রচরু দুষিত রক্ত বের হয়ে যাওয়ার ফলে শরীর যাতে দুর্বল না হয় সে জন্য প্রচুর পানি, ফল, শাক-সবজি, মাছ-মাংস ও ডিম খেতে হবে । এছাড়া স্বাভাবিক নিয়মে খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে ।

প্রজনন স্বাস্থ্যের পরিধি

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মনে করা হয় যে, মহিলাদের বিশেষ যত্ন শুধুমাত্র গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং প্রসব পরবর্তী সময়েই নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু একটি শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও প্রৌঢ়ত্ব প্রতিটি স্তরেই প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িত। অর্থাৎ, শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের সকল নারী-পুরুষই প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় পড়ে।

(সূত্র: প্রজনন স্বাস্থ্য সহায়িকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ইউএনএফপিএ)

১৯৯৪ সালে কায়রোতে অনুষ্ঠিত ICPD এর ঘোষণা অনুসারে প্রজনন স্বাস্থ্যের আওতাভূক্ত কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:

(সূত্র: জেন্ডার ইস্যু এবং, শামীম আরা, পৃ: ৪৩)

ছেলেদের স্বপ্নদোষ : ছেলরা তার প্রজনন ক্ষমতা জানান দেন স্বপ্ন দোষের মাধ্যমে । এটিও একটি স্বাভাবিক নিয়ম । মেয়েদের মতো ছেলেদেরকেও এটির বিষয় জানিয়ে দেওয়া উচিত যাতে তারা নিজেরা নিজেদের যত্ন নিতে পারেন । 

প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা

প্রজনন স্বাস্থ্যের সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘ প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা হচ্ছে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলোকে প্রতিরোধ ও সমাধান করার জন্য কিছু পদ্ধতি, কৌশল ও সেবাসমূহের সমাহার যা প্রজনন স্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য সহায়ক’। এই সেবার আওতায় যৌন স্বাস্থ্যও অন্তর্ভূক্ত। যার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র প্রজনন এবং যৌনবাহিত রোগসমূহের পরামর্শ দান এবং সেবাই নয়, মানবজীবন এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়নও।

প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার

(সূত্র: প্রজনন স্বাস্থ্য সহায়িকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ইউএনএফপিএ)

https://www.youtube.com/watch?v=3FKpbgOS-Hc&list=RD3FKpbgOS-Hc&start_radio=1