বগুড়ায় ডিজে গার্লকে ধর্ষণ, অন্যজন পালিয়ে রক্ষা
আজকের ঝলক বগুরা প্রতিনিধি :
বগুড়ায় রাতভর এক ডিজে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে রাজু আহম্মেদ (২৭) নামের এক যুবক। একই স্থানে অপর এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে নয়ন মিয়া শাহ (৩০) নামের অপর যুবক। এই দুইজনও ডিজে শিল্পী বলে জানা গেছে। এঘটনায় তিনজনকে আসামি করে বগুড়া সদর থানায় মামলা হয়েছে । সে সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উক্ত তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় সহযোগীর অপরাধের আসামি হলেন, ভাড়াবাসার মালিক নিছা খাতুন নিহা (১৯) ।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ধর্ষিতা ডিজে শিল্পীর পিতা এবং ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া অপর একজন ডিজে শিল্পীর প্রতিবেশী নানা জানান, আমার মেয়ে ও প্রতিবেশী এক নাতনি নিছা খাতুন নিহার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ডিজে পার্টি অনুষ্ঠান করে। সেই সুবাদে ডিজে শিল্পী রাজু আহম্মেদ ও নয়ন মিয়ার সঙ্গে নিছা খাতুন নিহার বাসায় কিছুদিন আগে পরিচয় হয়।
গত ৭ই জানুয়ারি অভিযুক্ত রাজু আহম্মেদ নাচ–গানের কথা বলে তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিছা খাতুন নিহার ভাড়াবাসা শহরের দত্তবাড়ীর মিনকো প্যালেসে যায়। পরে নিছা ওই দিন রাত ৯টার সময় রাজু আহম্মেদ এবং নয়ন মিয়া শাহকে মোবাইল ফোনে ওই ফ্ল্যাটে ডেকে আনে। সেখানে সবাই মিলে খাওয়ার পর্ব সেরে ফেলে। পরে ওই রাতে রাজু ডিজে কিশোরীকে একটি রুমে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। অপর একটি কক্ষে নয়ন মিয়া শাহ অপর কিশোরীকে নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীর শরীরের স্পর্শকারত অঙ্গে হাত বুলায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ওই দুই কিশোরী কৌশলে ওই ফ্লাট থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরে।
এরপর তারা ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের কাছে বর্ণনা করলে শনিবার বগুড়া সদর থানায় অভিযুক্ত ওই দুই যুবক এবং সহযোগী এক নারীর নামে মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজু আহম্মেদ গাইবান্ধা জেলার থানাপাড়ার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে, নয়ন মিয়া শাহ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নিশিন্দারা আকন্দপাড়ার আনিছার রহমানের ছেলে এবং মোছাঃ নিছা খাতুন নিহা বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ইন্দুপুর (কমলপুর চর) এর মোঃ গাফফার মন্ডলের মেয়ে এবং তার স্বামীর নাম ইউসুফ আলী। নিছা বগুড়া শহরের দত্তবাড়ীর মিনকো প্যালেস এ বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।
এবিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, মামলা গ্রহণের সাথে সাথেই অভিযান চালিয়ে আমরা উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছি।
এ বিষয়টি নিয়ে বগুরারা মিডিয়া পাড়ার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।