আজকের ঝলক নিউজ

মাদ্রাসাছাত্র দরজা খোলায় বাবুর্চিই হত্যা করে মাদ্রাসাছাত্রকে

Spread the love

বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, হত্যার শিকার শি’শু হাসিবুল শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সবার সাথে মাদ্রাসার মধ্যে ঘুমচ্ছিল। গভীর রাতে হাসিবুল উঠে বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে বের হয়ে দরজা আটকানোর শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমার । আমি উঠে এসে হাসিবুলকে শব্দের কথা জিজ্ঞাসা করলে সে প্র’তিবাদ করে আমার কথার উপরে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবুর্চি হাসিবুলের দুই গালে চর থাপ্পড় মে’রেছিলাম। এক পর্যায়ে হাসিবুল ইটের ওপর লুটিয়ে পড়ে।তারপরে এক পর্যায়ে হাসিবুল মারা গেলে, তাকে গামছা পেঁচিয়ে মাদ্রাসার পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে রেখে আসছিলাম।

বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমির মল্লিকের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে তিনি বলেন যে কথা, গভীর রাতে বাথরুমের দরজা খোলায় ক্ষি’প্ত হয়ে বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার-ই হত্যা করেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলামকে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান আলহাজ রহমতিয়া স্মৃতি শিশু সনদ হাফেজি ও কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাসিবুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দী দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার আমাদের আরও বলেন যে, জবানবন্দীসহ আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ শেষে অতি শিগগিরই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

উল্লেখ্য, রো’ববার (৬ ডিসেম্বর) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের নব্বইরশি বাসস্টান্ড সংলগ্ন আলহাজ রহমতিয়া স্মৃতি শিশু সনদ হাফেজি ও কওমী মাদ্রাসার পাশে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে হাসিবুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে নিহত শিশু হাসিবুলের মা তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সে।

হ’ত্যার সাথে জড়িত স’ন্দেহে সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শিক্ষক হাফিজুর রহমান ফারুক ও বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদারকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বা’গেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমির মল্লিক ওই দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Exit mobile version