বিবেকহীনরা সবসময় নিজের স্বার্থের কথাই চিন্তা করে
বিবেকহীনদের স্বার্থ সংরক্ষণ
ফেব্রুয়ারি ২৩ ২০২১, ২০:২৮
বিবেকহীনরা সবসময় নিজের স্বার্থের কথাই চিন্তা করে : বিবেকহীনদের স্বার্থ সংরক্ষণ
আজকের ঝলক :
বিবেক কী ? : সাধারণত মনুষত্ববোধ যা মানুষকে ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা, ঠিক-বেঠিক অনুভব করতে শেখায় সাধারণত তাকে বিবেক বলে । কথায় আছে বিবেকহীন মানুষ পশুর সমান । পৃথিবীতে যাদের প্রাণ আছে সবই প্রাণি কিন্তু শুধু মাত্র মানুষের রয়েছে বুদ্ধিবৃত্তি যার কারণে মানুষ অন্য সকল প্রাণিদের শাসন করতে পারে এবং নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে । এক কথায় বলা যায় বিবেকহীন মানে হলো বিবেক নেই এমন ।
সাধারণত বিবেকবান মানুষ কথা বলার আগে চিন্তা করে কথা বলে যাতে অন্যরা তার কথায় ব্যথিত না হয় । আবার কিছু সময় ভুল কিছু বলে ফেল্লে বা করে ফেল্লে বিবেক জানিয়ে দেয় এটা ঠিক নয় । কিন্তু বিবেকহীনদের কাছে নিজের স্বার্থের বাহিরে কিছুই ঠিক মনে হয়না । বিবেকহীনরা নিজেদের সমানুভূতি হারিয়ে ফেলে সে কারণে সে নিজের ভুলগুলো সুধরে নিতে পারেনা এবং সব সময় নিজেকে ঠিক মনে করে ।
“সব ধরনের অনিশ্চয়তা, হতাশা আর বাধা সত্ত্বেও নিজের সবটুকু দিয়ে সফল হওয়ার চেষ্টাই শক্তিমান মানুষকে দুর্বলদের থেকে আলাদা করে” – থমাস কার্লাইল (স্কটিশ দার্শনিক ও গণিতবিদ)
বিবেক তত্ব :
বিবেক কি? যার মাঝে জ্ঞানকোষ জাগ্রতচিত্ত অর্থাৎ যিনি এলেমদার এবং এলেমের মাঝে যিনি বিচরণ করে তিনি এবং আত্মার খাদ্যাংশ হইতেছে জ্ঞান, যিনি তার নিজ আত্মা কে প্রতিনিয়ত খাদ্য দিয়ে রসযুক্ত করে সজীবতা করে রাখেন তার মাঝে বিবেক জাগ্রত থাকে। একজন পরিপূর্ণ জাগ্রত বিবেকবান মানুষের বিবেকী আচরন দিয়ে আত্ম প্রশান্তচিত্ত রুপে তার আত্মা শুদ্ধি চেতনালাভ কর যায়।
বিবেকবান এবং বিবেকহীন মানবের আচারনিষ্ঠা গুলো
(১) শান্তিময় মানব আর অশান্তিজনক মানব
(২) বিশ্বাস এবং সন্দেহকারী
(৩) দাক্ষিণ্য এবং কৃপণতা
(৪) বিনয়ী এবং অহংকারী
(৫) সত্যতা এবং শত্রুতা
(৬) জ্ঞানময় এবং মূর্খতারূপ
(৭) লজ্জা এবং নির্লজ্জতা
(৮) গাম্ভীর্য এবং চপলতা
(৯) ধর্মতা এবং ধর্মহীন
(১০) আলো এবং অন্ধকার
(১১) সন্মান এবং অসন্মাম
(১২) বাধ্যতা এবং অবাধ্যতা
(১৩) প্রভুপরায়ণ এবং বিপথগামী
(১৪) প্রভু স্বরন এবং গাফেলি
(১৫) উপদেশ অহিংসক বানী এবং হিংসাত্বক চেতনাদানকারী
(১৬) প্রেমময় সত্তা মানব এবং ঘৃণাকর চেতনাহীন মানব
(১৭) মায়াময় এবং নিষ্ঠুরতা
(১৮) আশ্রয় দানকারী এবং নিরাশ্রয় দানকারী
(১৯) বিপদাপদ পাশে সাহায্যদান কারী এবং বিপদ দেখে পলায়ন কারী
(২০) বিনা স্বার্থকারী এবং স্বার্থপিশাচ
(২১) মানবিকতা এবং কৌসলগত চলাকি
(২২) নরম সভাবযুক্ত এবং গরম সভাব
(২৩) প্রভুর সংযোগ কারী মুত্তাকিন এবং চেতনাহীন মুসলিম
(২৪) চিত্ত সুখ এবং যন্ত্রনা ভোগী
(২৫) বিবেকবান মানব অপরের মঙ্গল করিয়ে আত্ম সুখ পায়, এবং বিবেকহীন মূর্খ মানব তার নিজের সৎকাজে কখনো আত্ম সুখকর পায় না।
(২৬) এলেমদার মানব নিজে এবং জাতিকে নিজের জ্ঞান কর্ম দ্বারা ইহকাল পরকালে শান্তি লাভ করে যায় এবং বিবেকহীন মানব অজ্ঞতাজনিত কারনে লোভপীড়িত হয়ে মানবের অকল্যাণ করে নিজের ক্ষমতা ধরে রেখে বর্বরোচিত কাজে নিয়োজিত করে মৃত্যু বরণ করে গেলে সে পরবর্তীকালে সে ঘৃণিত রুপে পরিণত হয়।
(২৭) যে ব্যক্তি প্রভুর আনুগত্য স্বীকার করে মেনে চলে তিনি সদা সর্বদা জাগ্রতচিত্ত রুপে থেকে ছয় রিপুদমন করে দিয়ে প্রভুর প্রেমময় আলিঙ্গনে বিচরণ করে চিত্ত সুখ লাভ করে। এবং বিবেকহীন মানব পশু রুপে জীবনপথ পরিচালিত করে জ্বালা যন্ত্রণা ভোগ করে মৃত্যু বরণ করে।
(২৮) বিবেকবোধ চেতনাত্মক মানব চিত্ত সুখে সুখী হয় এবং বিবেকহীন মানব বিত্ত সুখে সুখী হতে চায়।
(২৯) বিবেকবান মানব সকল ক্ষমতা থাকা সত্বেও ক্ষমা সৌন্দর্য মনভাব প্রকাশ করে মানব কল্যাণে । এবং বিবেকহীন মানব তার মাঝে সকল বর্বরতা ভাব প্রকাশ ঘটায় মানবের মাঝে।
(৩০) বিবেকবান মানব ধৈর্য্যশীল হয় এবং বিবেকহীন মানব অধৈর্য্য চেতনাহীন হয়
(৩১) বিবেকবান মানব ধর্ম জ্ঞান সরলতা মনুষ্যত্ববোধ সুন্দর চেতনাত্মক ভ্রমণ ধারায় বিশ্বাসী হয় এবং বিবেকহীন মানব টাকা নারী বাড়ী গাড়ী গয়নাগাটি চেতানায় বিশ্বাসী হয়।
(৩২) বিবেকবান মানব সৌন্দর্য মনভাবের হয় এবং বিবেকহীন মানব সংকীর্ণমনা হয়
(৩৩) বিবেকবান মানব নিজে ক্ষুধার্ত থাকার পরেও অন্য মানব কে খাদ্য বিতরন করে, কম খায় কম ঘুমায় অল্প আহার করে কম কথা বলে এবং পরিবারের শান্তি বজায় রেখে চলে । বিবেকহীন মানব বিপরীত কাজ করে।
(৩৪) বিবেকবান মানব আমানতের কখনো খেয়ানত করে না। বিবেকহীন মানব অতি লোভের কারনে আমানতের খেয়ানত করে ফেলে।
(৩৫) বিবেকহীনরা নিজের আচরণ নিয়ে কখনো ভাবেনা এবং ভুল সুধরে নিতে পারেনা । বিবেকবান ভুল হলে অনায়াসে সরি বলে তা সুধরে নিতে পারে ।
https://www.youtube.com/watch?v=WGVjKqK_Rpw&list=RDMMWGVjKqK_Rpw&start_radio=1