ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রা’মবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। এ খেলার আ’য়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। কালক্রমে হারিয়ে যে’তে বসা এ লাঠি খেলা দেখতে ভিড় করে না’না বয়সের মানুষ। গ্রামীণ এ ঐ’তিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠ’পোষকতা। এমনটাই মনে ক’রেন দ’র্শনার্থীরা।
কেউ হেঁ’টে আবার কেউবা ভ্যান বা মোটর সাইকেল যোগে সোমবার দু’পুরের পর থেকে ঝিনাইদহের শৈলকুপার বড়দাহ গ্রামের হা’ইস্কুল মাঠে আসতে শুরু করেন। উদ্দেশ্য গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লা’ঠি খেলা দেখা।
সূর্য পশ্চিম দিগন্তে এক’টু হেলে পড়লেই শুরু হয় খেলা। ঢা’ক-ঢোল আর কাঁসার ঘন্টার শব্দে চারপাশে উৎসবমুখর প’রিবেশের সৃষ্টি হয়। বাদ্যের তালে নেচে নেচে লাঠি নিয়ে নানান অ’ঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। তারপরই চলে লাঠির কসরত। প্র’তিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে র’ক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁ’পিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা।
এসব দৃ’শ্য দেখে আগত দর্শকরাও করতালির মা’ধ্যমে উৎসাহ যোগায় খেলোয়াড়দের। হা’রিয়ে যেতে বসা এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি পৃ’ষ্টপোষকতার মাধ্যমে নিয়মিত খেলার আয়োজন করার দা’বি করেছেন দর্শক ও খেলোয়াড়রা।
এক’জন দর্শক বলেন, এসব খেলা আমাদের ঐ’তিহ্য। এখনো মানুষের মাঝে এসব খে’লা নিয়ে ব্যাপক আ’গ্রহ। নিয়মিত এ’সব আয়োজন করলে, খেলাগুলো টিকে থা’কবে।
সমাজ থে’কে অন্যায়-অপরাধ দূর করতে আর হারানো ঐতিহ্য ধ’রে রাখতেই এই আয়োজন বলে জা’নান আয়োজকরা।
এ’বারের লাঠিখেলায় ঝিনাইদহের শৈল’কূপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১০টি লা’ঠিয়াল দল অংশ নে’য়।