১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না দিলে জরিমানা; ই-কমার্স নীতিমালা

ডিসেম্বর ০৮ ২০২০, ০১:২৩

Delivery mail man giving parcel box to recipient, Young owner accepting of cardboard boxes package from post shipment, Home courier and delivery service mind concept. (Delivery mail man giving parcel box to recipient, Young owner accepting of cardboar

Spread the love

প্রথমত এই নীতিমালা শুধু ওয়েবসাইটভিত্তিক ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর জন্য হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালিত ক্ষুদ্র ই-কমার্স উ’দ্যোগের জন্য আলাদা নীতিমালা জারি করবে। বর্তমানে ওয়েবসাইটভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পা্রয় ২০০০টি। এ ছাড়া ফেসবুক ও অন্যান্য সা’মাজিক যোগযোগ মাধ্যম ভিত্তিক ৫০ হাজার উদ্যোগ রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জা’নায়, বিদ্যমান অসংগতি হ্রাস ও গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে সরকার ই- ক’মার্স খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য নীতিমালা তৈরি করছে।

অনলাইনে অর্ডার স’ম্পন্ন হওয়ার পরে এলাকাভেদে ৭ থেকে ১০ দিনের ভিতরে পণ্য ডেলিভারি না দিলে জরিমানা দিতে হবে ই- কমার্স কোম্পানিকে। এটি করতে ব্যর্থ হলে ই- কমার্স কোম্পানিকে জরিমানার পাশাপাশি গ্রাহককে পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে। এমনকি পণ্য সরবরাহ জালিয়াতির মামলায় দো’ষী সাব্যস্ত হবে।
ক্রেতা ও বিক্রেতার অবস্থান একই জেলায় হলে সাত দিনের মধ্যে ডেলিভারি কোম্পানিকে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে হবে। ক্রেতা যদি অন্য জেলার হয় তবে কো’ম্পানি ক্রেতার ঠিকানায় পণ্যটি পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ ১০ দিন সময় পাবে। এ সময়ের বেশি হলে জরিমানা গুনতে হবে এবং গ্রাহকের আগে পরিশোধ করা টাকা ফেরত দিতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জালিয়াতি ও দেরিতে পণ্য ডেলিভারি রোধে এসব শর্ত যুক্ত করে ই-ক’মার্স নীতিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে। এ জাতীয় অনেক নির্দেশিকাসহ, ই-কমার্সকে আরও সহজলভ্য করতে একটি নীতি সমৃদ্ধ ব্যবসায়ীক মডেল প্রণয়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ই-কমার্স নী’তিমালার একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে। নীতিমালা চূড়ান্ত করার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শি’গগিরই বৈঠকে বসবে বলে জানা যায়।

মন্ত্রণালয়ের আশা গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করা গেলে আগামী বছর ই- কমার্স খাতে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে যে, অ’নলাইনে অর্ডার করার সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি ম্যানের কাছে পণ্য হস্তান্তর করতে বাধ্য থাকবে ই-কমার্স কোম্পানি।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, পণ্যের মজুদ না থাকলে কোনো কোম্পানি অর্ডার গ্রহণ করতে পারবে না। পণ্যের মান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনলাইনে প্রদর্শনের সময় অবশ্যই পণ্যের স’ঠিক বিশেষত্ব উল্লেখ করতে হবে। ভালোমানের ছবি দেখিয়ে নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করা হলে এটি অ’বশ্যই প্রতারণা হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ক্ষেত্রে, দণ্ডবিধির ৪২০ ধারাটি ক্রেতাদের পক্ষে থাকবে কারণ তারা জালিয়াতির মামলা করতে পারে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডি’জিটাল কমার্স সেলের কো-অর্ডিনেটর হাফিজুর রহমান বলেন, নীতিমালাটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের আগে উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ ও এ সম্পর্কিত স’রকারি বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় খসড়া নী’তিমালা তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালাটি কার্যকর হলে ভোক্তাদের আস্থা তৈরি করে ই- কমার্স খাতের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

হাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অ’ধিদফতরকে নীতিমালাটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এজন্য অধিদফতর আইন সংশোধন করা হবে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, তড়িঘড়ি করে ক্যাশ অন ডে’লিভারি ব্যবস্থা বন্ধ করা যাবে না। ক্রেতা যদি ই-কমার্স কোম্পানির প্রতি আস্থাশীল না হতে পারেন তাহলে পণ্য না দেখে তারা আগেই মূল্য পরিশোধ করবে না।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাং’লাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা ই- কমার্স নীতিমালার খসড়া কপি আমরা এখনও পাইনি। আমরা ই’তোমধ্যে বেশ কয়েকটি সুপারিশসহ লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। ক্যাশ অন ডেলিভারির পরিবর্তে আমরা ডেবিট অথবা ক্রেডিট এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে আগে পরিশোধ করার প্রস্তাব করেছি।

ই-ক্যাব সূত্র জানায়, ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে মূল্য প’রিশোধ করা হলে ই-কমার্স কোম্পানি সরাসরি টাকা পায় না। ডেলিভারি ম্যানের কাছ থেকে টাকা পেতে এক থেকে দুইদিন সময় লাগে। আবার যদি ক্রেতা পণ্য গ্রহণ না করেন তখন কোম্পানিকে ডেলিভারি চার্জ বহন করতে হয়, তখন পুরোটাই লোকসান হয়। ক্রে’তা যখন আগে মূল্য পরিশোধ করবে তখন এই সমস্যা হবে না। আগে মূল্য প’রিশোধ করলে টাকা কোম্পানির হিসাবে জমা হয়। ক্রেতা পণ্য ডেলিভারি পেতে সন্তুষ্ট হলেই সরাসরি ই-কমার্স কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করবে। যদি ক্রেতা পণ্য পেয়ে সন্তুষ্ট না হন তাহলে ই-কমার্স কোম্পানি টাকা ফেরত দেয়। ই-ক্যাব বলছে, বিদেশে এ ধরনের নি’য়ম চালু রয়েছে।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »