চীন এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ

ভারত চীন সীমান্ত উত্তেজনা; ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নাকচ করল চীন

Spread the love

এম আর এ হাওলাদারঃ চীন এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ নতুন কোনো বিষয় নয়, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এখন হঠাৎ করে এই করোনাভাইরাস প্যানডেমিকের ভেতর এই সঙ্কট শুরু হলো কেন? কারন লাদাখ সীমান্তের গালোয়ান উপত্যকায় গত কয়েকবছর ধরে ভারত যেভাবে রাস্তাঘাট সহ অবকাঠামো তৈরি করছে তাতে চীন সত্যিই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে, এবং ভারতের এই কর্মকাণ্ড তারা আর মেনে নিতে রাজি নয়। বিশ্বে নিজেদের প্রভাব বলয় বিস্তারের চেষ্টা চীন বেশ কিছুদিন ধরে করে চলেছে, এবং করোনাভাইরাস প্যানডেমিকে সারা বিশ্ব যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন বেইজিং এটাকে একটা লক্ষ্য হাসিলের সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করছে। শুধু সীমান্তে চাপ তৈরি নয়, হংকংয়ে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায় আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে চীন। গত ৫ মার্চ থেকেই পূর্ব লাদাখের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চীনা সেনাদের প্যাংগং হ্রদ ও গালওয়ান উপত্যকায় ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া যায়। ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতিরও খবর আসে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং যখন গত সপ্তাহে চীনা সেনাবাহিনীকে “সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার” অপরদিকে ভারত ও চীন, দু’পক্ষের কারও সঙ্গে কথা না বলেই স্বেচ্ছায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মানবে কি না, তা নিয়ে ভারত সরাসরি মুখ খোলেনি। তবে চীন কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব পুরোপুরি নাকচই করে দিল। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন শুক্রবার বললেন, “আলোচনা ও মতামত বিনিময়ের মাধ্যমে সমস্যাগুলি ভাল ভাবেই মেটাতে পারে ভারত ও চীন। সেই সব মেটানোর জন্য কোন তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই।’’ কথাটা অবশ্য গত কাল এতটা সরাসরি বলেননি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব। তিনি বলেছিলেন, “আলোচনার মাধ্যমে চীনের সঙ্গে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে ভারত। এ ব্যাপারে দিল্লি ও বেজিংয়ে কূটনীতিকরা তাঁদের কাজ করে যাচ্ছেন।’’ গত কাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানায়, যত রকম ভাবে যোগাযোগ রেখে চলা উচিৎ, সেই সব রকম ভাবেই চীনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে কূটনৈতিক স্তরেও। সূত্রঃ বিবিসি/রয়টার্স



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »