শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে আসন্ন বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করুন

Spread the love

ঝলক সংবাদ দাতা :

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণসহ স্বীকৃতি প্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শর্ত শিথিল করে এমপিওভুক্ত করতে আসন্ন বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের উদ্যোগ গ্রহণে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে শিক্ষক সমাজের পক্ষে  অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মোঃ নজরুল ইসলাম রনি।

নন এমপিও’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ছাড়করণসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে নন এমপিও’ শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করায় শিক্ষামন্ত্রীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ ২৮ মে  প্রেরিত এক পত্রে নজরুল ইসলাম রনি শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক -কর্মচারীগণ দীর্ঘ দিন থেকেই বেতন বৈষম্যের শিকার। এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ বর্তমানে ২৫% ঈদবোনাস পেয়ে আসছেন যা দীর্ঘ ১৬ বছরেও কোন পরিবর্তন হয়নি। করোনার প্রভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকসহ নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, ছাত্র বেতন বন্ধ। শিক্ষক-কর্মচারীগণ প্রতিষ্ঠান থেকে যে টুকুন সম্মানী ও ভাতা পেতেন তাও বন্ধ। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ মাত্র ১০০০টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০টাকা চিকিৎসা ভাতা পান যা দীর্ঘ ১১বছরেও পরিবর্তন হয়নি। বহুদিন থেকেই আমরা সরকারী নিয়মে ঈদবোনাস ও বাড়ি ভাড়া দাবি করে আসছি। কিন্তু শিক্ষক সমাজের ন্যায্য দাবি পূরণ হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, বর্তমানে করোনার এ দুঃসময়ে এমপিওভুক্ত এবং নন এমপিও’ শিক্ষকদের আর্থিক সমস্যা মারাত্মক পর্যায়ে। এমপিও’র সামান্য বেতনে তাদের জীবন যাপন এখন খুব কষ্ট সাধ্য ও দুঃসহ। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে প্রণোদনাও দেয়া হলো না। এরা ত্রাণসামগ্রীও চাইতে পারে না। রেশনিং প্রথাও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য চালু হয়নি। একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক মাত্র ১২৫০০ টাকা পান। যা দিয়ে তাদের জীবন চলে না।

এ ছাড়া নন-এমপিও’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন থেকে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছে। অনেকের বয়সও প্রায় শেষের দিকে। এ জন্য শর্ত শিথিল করে হলেও স্বীকৃতি প্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে শিক্ষামন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।

নজরুল ইসলাম রনি প্রেরিত পত্রে আরও বলেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, আপনি শিক্ষক সমাজের অভিভাবক। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণে আসন্ন ২০২০-২০২১ অর্থ বাজেটে ২৫% ঈদবোনাসের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে শতভাগ ঈদবোনাস ও ১০০০টাকার পরিবর্তে সরকারী নিয়মে বাড়ি ভাড়া এবং এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণসহ স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শর্ত শিথিল করে এমপিওভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখতে আপনার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ১৯৭৩ সালে সর্বপ্রথম ৩৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর সম্ভব হয়নি। এটা জাতি  এবং শিক্ষক সমাজের জন্য দুর্ভাগ্য।

আপনার পরামর্শে শিক্ষক সমাজ সরকারী আদেশ মেনে ঘরেই আছে এবং করোনায় অসহায়দের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এছাড়া আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ১দিনের বেতন দিয়েছি। সরকারী নির্দেশ মোতাবেক কৃষকদের পাশে থেকে পাকা ধান কেটে দেয়ায় সহযোগিতা করেছি।

তিনি দৃঢ়চিত্তে কলেন, জাতীয়করণ হলে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও রাষ্ট্র সবাই এর সুফল পাবে। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নসহ উন্নত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। সুতরাং আসন্ন বাজেটে এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণ ঘোষণায় তথা শিক্ষক সমাজের বেতন বৈষম্য দূরীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন ।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »