আম্পানের কারণে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন আম্পান

Spread the love

ঘূর্ণিঝড় আম্পান  ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে । এটি আজ বুধবার সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্র থেকে ৩৯০ ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আম্পানের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১৪০ থেকে ১৬০ মিটার বেগে ঝড়ো বাতাসসহ অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা নৌযানগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘর্নিঝড় আম্পান সিডরের চেয়ও শক্তিশালী হবে বলছেন গবেষকরা । ঘুর্ণিঝড়টি আগামী কাল সকাল থেকে বিকালের মধ্য উপকূলীয় এলাকা থেকে অতিক্রম করবে । এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ২১০ থেকে ২২০ কিমি । সবচেয় ভয়েরি বিষয় হলো আগামী কাল ২০মে বিকাল ৫টায় হিরণ পয়েন্টে জোয়ার থাকবে ঐ সময় ঘুর্ণঝড় আঘাত হানলে ১০ ফুট জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে উপকূল। এসেক্ষত্রে যেসকল এলাকায় সাগরের পানি চ্যানেল দিয়ে সরাসরি ঢোকে সেকল এলাকা ১০ ফুট পানির নীচে তলিয়ে যেতে পারে । আর লবনাক্ত পানি ঢুকে গেলে দীর্ঘদিনের জন্য ক্ষতি সাধিত হবে । পাশা-পাশি ফসল বিনষ্ট, পশুর মৃত্যু হতে পারে । এদিকে করোনার কারনে মানুষ সাইক্লোন সেল্টারে যেতে চাইছেনা সেটাও একটা ভাবার কারণ ।

১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত মানে হলো : বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি.বা তার বেশি হতে পারে।

১১ নম্বর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত হলো : আবহাওয়ার বিপদ সংকেত প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তা পরিস্থিতি দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »