গতকাল সোমবার বগুড়ার গাবতলী সুখানপুকুর মহিষবাথান মাতৃ সরোবর চত্তরে হাইব্রীড ধান বীজ “সবুজ সাথি” কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লাল তীর সীড লিমিটেড এর ডিভিশনাল ম্যানেজার শফিকুর রহমান।

ধানের বাম্পার ফলন ॥

সেপ্টেম্বর ২৯ ২০২০, ০১:৪০

Spread the love

আল আমিন মন্ডল (বগুড়া) ঃ হেমন্তের ঝিরি ঝিরি হিমেল বাতাসে মাঠে মাঠে সোনালী ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। মাঝে মাঝে উকিঁ মারে সোনালী ঊষার আলো ও শোনা যায় জাতীয় পাখি দোয়েলের শিশ। এমনি বৈচিত্রময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পুনরায় চোখে পড়ে সেই বগুড়া গাবতলী সুখানপুকুর এলাকায়। এমন দৃশ্য দেখে পথচারীদের মন আনন্দে মেতে উঠছে। বগুড়ার গাবতলী সুখানপুকুর এলাকায় কৃষকদের মাঝে আমন মৌসুমের চাষাবাদে জীবন সাথী হিসেবে লাল তীর সীড লিমিটেডের হাইব্রীড ধান বীজ “সবুজ সাথি” চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে।

জানা গেছে, গতবছর একই এলাকার সফল কৃষক গৌড় চন্দ্র রায়, বিধান চন্দ্র রায় ও পল্লী চিকিৎসক মিন্টু ডাক্তার লাল তীর সীড লিমিটেডের কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে হাইব্রীড ধান বীজ “সবুজ সাথি” চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছিল। পল্লী চিকিৎসক মিন্টু ডাক্তার জানান, আমি গতবছরে লাল তীর সীড লিমিটেডের হাইব্রীড ধান বীজ “সবুজ সাথি” চাষ করি, ধান লাগানোর এক মাসের মাথায় বন্যায় প্রায় ২ ফুট পানির নিচে ১৫ দিন ধানক্ষেত নিমজ্জিত থাকে।

এ জমি থেকে ফসল পাওয়ার আশা একেবারে ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু অবিশ^াস্য হলেও সত্য সকলের দুরাশাকে দুরে ফেলে বন্যার পানি নেমে গেলে ধানের ক্ষেত পুনরায় পূর্বের ন্যায় সবুজ ও সবল হয়ে উঠে এবং শেষ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ জমি থেকে ৩৫ মন ধান ঘরে উঠাতে পেরেছি। তাই দেখে এলাকার অধিকাংশ চাষীরা এ বছর সবাই লাল তীরের হাইব্রীড ধান বীজ “সবুজ সাথি” চাষ করেছে। এ ধানে কৃষকরা এখন ক্ষেতে চাষকৃত হাইব্রীড “সবুজ সাথি” ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

গত বছরের চেয়ে এবছরে ধানের দাম ভাল পাওয়ায় উপজেলায় কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে “সবুজ সাথি” ধান চাষ করে এখন তারা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তবে বগুড়া জেলাজুড়ে প্রতিবছরে বাড়ছে এ ধানের চাষ। তাই কৃষকদের মুখেমুখে এখন লাল তীর সীড লিমিটেড এর হাইব্রীড “সবুজ সাথি” ধানের নাম। এ মৌসুমে সবুজ সাথি ধান চাষ বেশী হওয়ায় একদিকে বাম্পার ফলন অন্যদিকে ধানের ভাল বাজার মূল্য পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সূত্র জানায়, উত্তরা লের বেশ কয়েকটি জেলা’সহ বগুড়ার গাবতলী ও সোনাতলা সুখানপুকুর এলাকায় এ ধানের চাষ বেশী হয়েছে।

কৃষকেরা সবজি চাষের পাশাপাশি হাইব্রীড “সবুজ সাথি” ধান চাষে ঝুকে পড়েছে। এমনকি সবুজ সাথি ধান সারা বছর চাষ করা যায়। ধান চাষে কৃষকদের পরিশ্রম একটু বেশী হলেও এবছরে ফলন এবং দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ফলে সুখানপুকুর মহিষবাথান গ্রামের কৃষক গৌড় চন্দ্র রায় জানান, চলতি আমন মৌসুমে আমরা লাভজনক ফসল হিসেবে “সবুজ সাথি” ধান চাষ করেছি এবং এ বছর বোরো মৌসুমেও আমরা “সবুজ সাথি” ধানই চাষ করবো। এ ধান গাছে রোগ বালাই কম, আগাম পাকে, ধানগাছ হেলে পড়েনা, ধান ঝরে পরেনা, ভাত ঝরঝরে এবং উৎপাদন বেশী।

এ ধান চাষে কৃষক সুফল পাওয়ায় গতকাল সোমবার বগুড়ার গাবতলী সুখানপুকুর মহিষবাথান গ্রামে মাতৃ সরোবর চত্তরে লাল তীর সীড লিমিটেডের উদ্যোগে হাইব্রীড ধান “সবুজ সাথি” এর মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। মাঠ দিবসে কৃষকদের মুখেমুখে ছিল লাল তীর সীড লিমিটেড এর হাইব্রীড সবুজ সাথি ধানের প্রশাংসা ও চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। কৃষক মাঠ দিবসে আদর্শ কৃষক গৌড় চন্দ্র রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লাল তীর সীড লিমিটেডের ডিভিশনাল ম্যানেজার শফিকুর রহমান। লাল তীর সীড লিমিটেডের আ লিক অফিস বগুড়ার আয়োজনে লাল তীর সীড লিমিটেডের পন্য উন্নয়ন সেবা ও প্রশিক্ষণ ব্যাবস্থাপক জহুরুল ইসলামের স ালনায় আরো বক্তব্য রাখেন রিজিওনাল ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন বিশ^াস, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, টেরিটরি ম্যানেজার আব্দুস সালাম, লাল তীর সীড লিমিটেড এর পরিবেশক আবু সুফিয়ান’সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ। কৃষক মাঠ দিবসে শতাধিক স্থানীয় কৃষক ও কৃষানী অংশ নেন।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »