একটা গোষ্ঠী চায় না সরকার স্থিতিশীল থাকুক: প্রধানমন্ত্রী

সেপ্টেম্বর ২৫ ২০২০, ২১:২৮

Spread the love

প্রধা’নমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে’ছেন, প্রাকৃ’তিক নানা দু’র্যোগ মোকাবিলার পাশা’পাশি তার সরকা’রকে ষড়য’ন্ত্রকা’রীদের সৃষ্ট মনুষ্য দু’র্যোগও মো’কাবিলা করতে হয়। শুক্র’বার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকা’লে জাতির পিতার জা’তিসংঘ সাধারণ অধিবে’শনে ভাষণ প্রদান দিবস উপ’লক্ষে আয়ো’জিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ঐ আলো’চনা সভায় ভিডিও কনফা’রেন্সে যোগ দেন তিনি।

তিনি বলেন, “৭৫ এর ১৫ আগস্ট যে ঘা’ত’কের দল জাতির পিতাকে হ’ত্যা করেছি’লো, তার দোসর যারা, তারা এ দেশে কখনও স্থি’তিশীল সরকার থাকুক তা তারা চায়নি, যার জন্য মাঝে মাঝেই চেষ্টা করে একটা অস্থি’তিশীল পরি’বেশ সৃষ্টি করতে চায়। এ প্রচে’ষ্টা যখন চালায় তখন আম’রা দেখি অ’গ্নিসংযোগ করে জীবন্ত মানু’ষকে হ’ত্যা করা অথবা মানু’ষকে খু’ন করা অথবা না’নাধরনের ঘটনা ঘটানো। আমা’দের সব অবস্থা’ই মোকা’বিলা করতে হয়।”

মানুষের আস্থা ও সম’র্থন আছে বলেই এসব ষড়যন্ত্র মো’কাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান আরও বলেন, বাংলা’দেশ আও’য়ামী লীগের ওপর এদে’শের মানুষের আস্থা ও বিশ্বা’স আছে, যে কারণে তারা আ’মাদের বারবার নি’র্বাচিত করেছে বলেই তাদের সেবা করতে পেরেছি। দীর্ঘ সময় একটু ক্ষম’তায় থাকতে পেরেছি বলেই উন্নয়নগুলো দৃশ্য’মান হচ্ছে। উন্নয়’নগুলো করতে পারছি যার সুফল দেশের মানুষ ভোগ করছে।

আলো’চনায় ৪৬ বছর আগে জাতি’সংঘ সাধারণ অধি’বেশনে জাতির পিতা দেয়া ভাষ’ণের বিভিন্নর দিক আলোক’পাত করেন প্র’ধানমন্ত্রী। এতটা দিন পরও সমা’নভাবে প্রাসঙ্গিক জাতির পিতা ভাষণ উল্লে’খ করে তিনি বলেন, সে সময় যে কথা’গুলো তিনি বলে গিয়ে’ছিলেন, আম’রা কিন্তু এখনও আন্তর্জাতিকভাবে সে ইস্যুগুলো নিয়েই কাজ করছি।

তিনি পরিবে’শের কথা বলেছেন, প্রাকৃতিক দু’র্যোগে মানুষের ক্ষতি কী’ভাবে মোকাবিলা করা যায় সেকথা বলেছেন, তিনি দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা বলেছেন, মানবাধি’কারের’ কথা বলেছেন, ন্যায় বিচা’রের কথা বলেছেন, তিনি আর্থসামাজি’ক উন্নয়নের কথা বলে গেছেন, রোগ শোক নানা ধরনের দু’র্যোগ মোকাবিলার আহ্বানও তিনি জানিয়ে গেছেন।

সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়; জাতির পিতার দেখানো দেশের পররা’ষ্ট্রনীতির মূলনীতি এখনও তার সরকার অনুসরণ করে তার সরকার দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে চলেছেন যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে সর’কারপ্রধান বলেন, কূটনীতিক মিশনের দায়িত্বও এখন পরিবর্তন হয়েছে। এখন শুধু রাজ’নৈতিক কূটনীতি না, অর্থনৈতিক কূটনীতিও। এখন কূটনীতিটা ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি তে চলে গেছে। ব্যবসা বাণিজ্যে প্রসার ঘটানো, সকলের সঙ্গে মিশে কী’ভাবে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করা যায়। উন্নয়ন করা যায়, একে অ’পরকে কী’ভাবে সহযোগিতা করা যায়। একে অ’পরকে সহযোগিতা মধ্যে দিয়ে বিশ্বে শান্তি কী’ভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, সেভাবেই আমাদের ডিপ্লোমেসি আমাদের চালাতে হবে।

অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক মহামা’রি করো’না সংকট নিয়েও কথা বলেন প্রধা’নমন্ত্রী। করো’নার কারণে যাতে সংকট না হয় সেজন্য খাদ্য উৎপাদন, বিতরণ ও দরিদ্র মানুষকে বিনা পয়সায় খাদ্য দেয়া কর্মসূচি বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ভা’র্চুয়ালি রমনার ইস্কাটনে নব’নির্মিত ফরেন সার্ভস একাডেমীর ভবন উ’দ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মক’র্তারা।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »