ধনী গরিবের দূরত্ব কমিয়েছে করোনা, শিখিয়েছে মানবিকতা ও সহমর্মিতা।
মে ১৬ ২০২০, ১১:০৬
মানুষ জন্মগত ভাবেই সামাজিক জীব। তাই তাকে সমাজের প্রতি দ্বায়বদ্ধতার খাতিরেই অন্যের প্রতি সহযোগিতা ও সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করতে হয়। পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। এর কিছু কিছু প্রাকৃতিক এবং কিছু হচ্ছে মনুষ্যসৃষ্ট। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট সব দুর্যোগই একসাথে সমগ্র পৃথিবীতে আঘাত হানেনি। তবে বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনা ভাইরাসই একসাথে সমগ্র পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে। যার কারনে পৃথিবীতে মানবতার প্রতি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দরদ ও মমতা কতটা জরুরী সেটা খুব সহজেই পরিলক্ষিত হয়েছে বা হচ্ছে। এই মহামারীতে ইতিমধ্যে তিন লাখের বেশি মানুষ মৃত্যুবরন করেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ছিচল্লিশ লাখের বেশি মানুষ। পৃথিবী থমকে গেছে এই ক্ষুদ্র ভাইরাসের প্রভাবে। আজ পৃথিবীর সব বড় বড় রাষ্ট্রপ্রধানরা অসহায় হয়ে আল্লাহর সাহায্য কামনা করছে। এছাড়া আসলে কিছুই করার নেই কারো হাতে। সুস্থ থাকার জন্য আমরা কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছি তবে আমাদের জীবন পরিচালনার জন্য ঘরের বাইরে বের হওয়ার বিকল্প নেই। আমরা বলতে গেলে কার্যত গৃহবন্দী। একান্ত প্রয়োজন না হলেই কেহই বাড়ির বাইরে যায়না। তবে গরিব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের তো আর ঘরে বসে থাকলে চলেনা। তাঁদের তো কিছু করতে হয় নইলে পেট চলে না। যাঁদের অঢেল সম্পদ, টাকা পয়শা, বাড়ি গাড়ি আছে তাদেরও চিন্তা কবে সবকিছু স্বাভাবিক হবে?
কথায় আছে, বসে বসে খেলে রাজার গোলাও খালি হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ধনীরা কিছুটা হলেও গরিব ও অসহায় মানুষের কথা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে। তাই তারাও অনেকেই মানবিকতার পরিচয় দিতে অসহায় ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা করছে। এভাবেই করোনা ধনী ও গরিবের দূরত্ব কমিয়েছে শিখিয়েছে মানবিকতা।
লেখক; মো: খলিলুর রহমান।
এডিটর: আজকের ঝলক নিউজ।
www.ajkerjholok.com