দেশে আসা বেশিরভাগ ভা’রতীয় পেঁয়াজ পচা
সেপ্টেম্বর ২০ ২০২০, ১১:৫৩
আম’দানি জটিলতায় বিভিন্ন স্থলবন্দরে দিনের পর দিন আ’ট’কে থাকায় পচে গেছে বেশিরভাগ ভা’রতীয় পেঁয়াজ। দূর দূরান্ত থেকে পেঁয়াজ কিনতে হিলি স্থলবন্দরে এলেও পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় কিনছেন না কেউই। এতে লোকসানের ঝুঁ’কিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে, বিভিন্ন স্থলবন্দরের সীমান্তের ওপারে এখনও অ’পেক্ষায় রয়েছে শতশত ট্রাক।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে টানা পাঁচদিন আ’ট’কে থাকার পর শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অবশেষে বাংলাদেশে ঢোকে নিষেধাজ্ঞার আগে এলসি করা ও এলসির বিপরীতে টেন্ডার করা ভা’রতীয় পেঁয়াজের ট্রাক। এতে আম’দানিকারকদের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের মাঝেও স্বস্তির ছাপ পড়ে। তবে হিলি স্থলবন্দরে মাত্র ১১টি ট্রাক আসার পরই বন্ধ হয়ে যায় এই কার্যক্রম।
ব্যবসায়ীরা জানান, ওপারে এখনও অনুমতির অ’পেক্ষায় রয়েছে দেড় শতাধিক ট্রাক। তবে, লাখ লাখ টাকার পেঁয়াজ আম’দানি করলেও, গরমের মধ্যে বেশ কয়েকদিন বন্দরে আ’ট’কে থাকায় বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে; এমনকি পেঁয়াজ পচে পানি বের হয়ে গেছে বলেও জানান তারা। পাইকার এলেও পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
আর এসব নষ্ট পচা পেঁয়াজ গোডাউনের বাইরে রাখায় দুর্গন্ধে বিপাকে পড়ছেন পথচারীরা। বেশিরভাগ পেঁয়াজ পচেই পানি বের হয়ে গেছে বলেও জানান তারা।আম’দানিকারকদের অ’ভিযোগ, দুই দেশের সরকারকে ট্যাক্স দেয়ার পরও বারবার তাদের এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
যারা বিভিন্ন আড়তে কাজ করেন পচে পানি বের হয়ে যাওয়ায় তারাও ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না বলে জানান তারা।এদিকে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আগের এলসিকৃত পেঁয়াজ বোঝাই কোনো ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকেনি। ওপারে এখনো অ’পেক্ষায় রয়েছে ১৮ থেকে ২০টি ট্রাক। এ অবস্থায় আম’দানি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় লোকসান কমাতে ভা’রতের অভ্যন্তরীণ বাজারেই কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন আম’দানিকারকরা।
এছাড়া, ভোম’রা ও সোনা ম’সজিদ স্থলবন্দর দিয়ে কয়েকটি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দেশে ঢুকলেও এখনো আ’ট’কে আছে শত শত ট্রাক।