ডা. রাজীব ভট্টচার্য আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন। আর কিছুদিন পরেই তিনি হয়তো নিউরোসার্জন হবার কঠিন পথটি পাড়ি দিয়ে ফেলতেন। খুবই কষ্ট লাগছে উনার মৃত্যুসংবাদ শুনে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকেই আগুনের উৎপত্তি। উনার স্ত্রীও আগুনে দগ্ধ হয়েছেন৷ ঘটনাছি খুবই হৃদয় বিদারক ।
সকলকে মেনে চলতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে কিছু সতর্কতা যেমন :
১. শিশুদের কাছ থেকে যতোটা সম্ভব দূরে রাখুন এটি। এটি খেয়ে ফেললে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। এটি বিষাক্ত হতে পারে। এটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা শিশুদের শিখিয়ে দিন।
২. কেরোসিন তেল, দেয়াশলাই গ্যাস শিশুদের থেকে দূরে রাখুন। শিশুরা এগুলো খেয়ে ফেল্লে নানান সমস্যা হতে পারে।
৩. স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরপরই চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন কারণ এতে চোখ খুবই জ্বালা করতে পারে।
৪. আগুনের সংস্পর্শে যাবার আগে বা রান্না করার আগে এটি ব্যবহার করবেন না। ধূমপান বা মশার কয়েলের ব্যাপারে সতর্ক হোন। যেহেতু এরমধ্যে এলকোহল থাকে, তাই আগুন ধরে যেতে পারে যে কোন সময়।
৫. শুধু হ্যান্ড স্যানিটাইজারই না যেকোন দাহ্য পদার্থের ব্যাবহারে সতর্ক হোন। এরোসল, ডেটল,হ্যান্ড স্যানিটাইজার এধরনের জিনিস আগুন ,বৈদ্যুতিক সুইচ থেকে দূরে রাখুন।
নিজে সচেতন হন অন্যকে সচেতন করুন । আর যেন কোন দুর্ঘটনা না ঘটে ।