গভীর রাতে কেঁদে ওঠেন আবরারের মা

Spread the love

আজকের ঝলক নিউজ

গভীর রাতে হাউমাউ করে কেঁ’দে ওঠেন আবরার ফাহাদের মা। ছেলেকে হারিয়ে এখনও তিনি স্বাভাবিক হতে পারেননি। খাবারের টেবিলে বসে অনেক সময় ভাতের লোকমা মুখের কাছে নিয়েও তা মুখে দিতে পারেন না। চোখ থেকে অঝোরে গড়িয়ে পড়ে পানি। কখনও কখনও আবরারের পোশাক বসে বিলাপ করেন একা একা।কথাগুলো বলছিলেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। কথা বলার এক পর্যায়ে নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মুছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় বরকত উল্লাহর সঙ্গে।কেমন আছেন? জানতে চাইলে বরকত উল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বুকে পাথর চেপে যেভাবে থাকা যায়, সেভাবেই বেঁচে আছি। তবে কোনোভাবেই আবরারের মাকে বোঝাতে পারছি না। কি বুঝ দেব তাঁকে? আবররার তো তাঁর নাড়ী ছেঁ’ড়া ধন।’বরকত উল্লাহ বলেন, আবরারের ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসগু’লো চোখের সামনে পড়লেই হাউমা’উ করে কেঁ’দে ওঠেন তিনি (আবরারের মা)।

ধৈর্য্য ধরে আল্লাহকে স্মর’ণ করার কথা বললেই আবরারের মা জানায়, এগু’লোতে আবরারের শরীরের ঘ্রাণ পায় ও। আবরারকে দেখতে পায়। আবরার তো এগু’লোর ভেতরেই আছে।’ কখনো কখনো আবরারের কষ্টের কথা আউড়িয়ে চি’ৎকার করে উঠেন আবরারের মা।বরকত উল্লাহ বলেন, ‘ওরা (হ’ত্যাকা’রীরা) আমা’র আবরারকে সারা রাত পি’টিয়ে পি’টিয়ে হ’ত্যা করল। সারা শরীর তার থে’তলে দিল। সে একটু পানি পান করতে চেয়েছিল। তারা তাও দিল না।

পানির তৃষ্ণায় আমা’র আবরারের বুকটা ওই সময় কত জানি হাহাকার করছিল। ওই সময় আবরার না জানি কতটা ছটফট করছিল। এসব কথাই বারবার মনে করে কেঁ’দে ওঠেন আবরারের মা। সারাক্ষণ শুধু এ কথাগু’লোই বিড়বিড় করে বলে থাকেন।’ এ কথাগু’লোর বলার পর আর বেশি কিছু বলতে পারলেন না বরকত উল্লাহ। নির্বাক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরকত উল্লাহ গু’লশানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর গু’লশানের বাসায় যান।

সেখানে আইনমন্ত্রীর কাছে তিনি মা’মলা পরিচালনায় প্রসিকিউশন টিমে (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদল) দুজন আইনজীবী নিয়োগের অনুরোধ করেন। সেই স”ঙ্গে এ মা’মলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে মা’মলা দ্রুত নিষ্পত্তির অনুরোধ জানান। আইনমন্ত্রী তাঁর এ অনুরোধ রক্ষা করবেন বলে আশ্বা’স দেন।আইনমন্ত্রীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর বরকত উল্লাহর স”ঙ্গে কথা এনটিভি অনলাইনের এ প্রতিবেদকের।

আইনমন্ত্রীর স”ঙ্গে সাক্ষাতের কারণ জানতে চাইলে আবরার ফাহাদের বাবা বলেন, ‘সরকার আমা’র ছেলের হ’ত্যাকা’ণ্ডের ন্যায় বিচারের বি’ষয়ে শুরু থেকেই সচেতন রয়েছে। আন্তরিকতার স”ঙ্গেই ত’দন্ত কাজ শেষ করেছে। আ’দালতে অ’ভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এখন বিচার হবে। আমর’া চাই প্রত্যেক আ’সামির সর্বো’চ্চ সাজা নিশ্চিত হোক। এ কারণেই আমর’া দুইজন আইনজী’বী নিয়োগের কথা বলেছি।

’বরকত উল্লাহ আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে কোনো মা-বাবার বুকের ধন এভাবে যেনো নি’র্যা’তনের শিকার হয়ে মা’রা না যায় আমরা এটিই চাই। ছেলে হারানোর ব্যথা যে কতটা কষ্টের ও য’ন্ত্রণার সেটা আমরা বুঝি। এ কষ্ট আর যন্ত্রণা যেনো আর কোনো মা বাবাকে বহন করতে না হয়, এ জন্য আসামীদের সর্বো’চ্চ শাস্তি হোক আমরা এটিই চাই।

গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ভিন্নমত পোষণের অজুহাতে পি’টিয়ে হ’ত্যা করে ছাত্রলীগের নেতারা। পরদিনই আবরারের পিতা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরু’’দ্ধে একটি হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেন।গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আ’দালতে ছাত্রলীগের ২৫ জন নেতাকর্মীর নামে অ’ভিযোগপত্র পেশ করে ঢাকা মহানগর পু’লিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। হ’ত্যাকা’রীদের মধ্যে চারজন পলা’তক এবং বাকি ২১ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »