মিয়ানমার ও আমেরিকায় সংঘাত

আরও একটি রক্তাক্ত দিন; নিহতের সংখ্যা বাড়ছে

Spread the love

মিয়ানমারে শতাধিক বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছে; যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতায় নিহত ২, আহত ৮

আজকের ঝলক:

আরও একটি রক্তাক্ত দিন দেখল মিয়ানমার। শনিবার দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দিবসে একদিনেই আরও শতাধিক বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছে। গত মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে শনিবারই সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।

বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবার দাবি জানিয়ে আসছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু এখনই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে রাজি নয় সামরিক সরকার। ইয়াঙ্গুন, মান্দালায় এবং অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আগে থেকেই বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীরা। তবে সেই আন্দোলনে গেলে মাথা ও পিঠে গুলি করা হতে পারে বলে শুক্রবার রাতে হুঁশিয়ারি দেয় জান্তা সরকার।মিয়ানমারের রাষ্ট্রপরিচালিত এমআরটিভি নিউজ চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক ঘোষণায় বলা হয়, আগের জঘন্য মৃত্যুগুলোর ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত যে, (বিক্ষোভে গেলে) আপনি মাথা ও পিঠে গুলি লাগার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

এরপরও পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুসারে শনিবার রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। আর নিরাপত্তা বাহিনীও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভরত জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে।

শনিবার বিকালের দিকে পর্যবেক্ষণ সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানায় যে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৮৯ জন নিহত হয়েছে।

পরবর্তীতে শনিবার রাতে মিয়ানমার নাউ নিউজ ওয়েবসাইটে বলা হয় যে, সারাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে শিশুসহ ১১৪ জন নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত একদিনে এটাই সর্বোচ্চ নিহতের সংখ্যা।

১৩ বছর বয়সী এক শিশুসহ কমপক্ষে ৪০ জন মান্দালায় নিহত হয়েছে এবং ইয়াঙ্গুনে কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার নাউ। এছাড়া অন্যান্য শহরেও আরও বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতায় নিহত ২, আহত ৮

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বীচে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে একাধিক সহিংসতায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৮ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা পরবর্তীতে গোলাগুলিতে রূপ নেয়।

নিহতদের মধ্যে একজন নারী এবং অপরজন পুরুষ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পৃথক দু’টি ঘটনায় দু’জন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর নাম দেশায়লা হ্যারিস, বয়স ২৮ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী সহিংসতায় জড়িত ছিলেন না। ঘটনাস্থলে তিনি দর্শকের মতো ছিলেন। কিন্তু সহিংসতায় তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত অপরজন হলেন দোনোভোন লিঞ্চ। তার বয়স ২৫ বছর।

পুলিশের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রিসোর্ট এলাকায় আটলান্টিক অ্যাভিনিউয়ের ১৯০০ ব্লকে এই সহিংসতা শুরু হয়। একদল লোক নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে এবং পরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সহিংসতার এক পর্যায়ে লোকজন একে অন্যকে গুলি চালাতে শুরু করে। এর ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে স্থানীয় কর্মকর্তারা কয়েক দফা গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এরপরেই আরও একটি স্থানে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন

মোদি সফরে নিহত ৫; রবিবার হেফাজতের হরতাল

ভিডিও https://www.youtube.com/watch?v=3FKpbgOS-Hc&list=RD3FKpbgOS-Hc&start_radio=1



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »