পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ ভেসে উঠছে

চরফ্যাশনে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন !

Spread the love

আজকের ঝলক নিউজ :

চরফ্যাশনে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশনে জিন্নাগড় ইউনিয়নে তালুকদার চোমুহনী ফরাজী বাড়িতে গড়ির রাতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাছ মারার অভিযোগ উঠেছে৷
শনিবার (৬মার্চ) সকালেএই ঘটনাটি ঘটেছে চরফ্যাশন উপজেলার তালুকদার বাজার সংলগ্ন জিন্নাগড় ৩নং ওয়ার্ডের আবদুর রহমান ফরাজি বাড়িতে৷
জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফারুক হোসেনের পুকুরের  মাছ নিধন করেছে তার প্রতিপক্ষরা। পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ ভেসে উঠছে৷ সকালে পুকুরের এ মরা মাছ দেখতে এলাকাবাসী ভীর জমায়৷
পুকুর থেকে মরা মাছ তুলে  নুর নাহার ও তাজুল ইসলাম। এসময় প্রতিপক্ষ বশির, বেল্লাল আলম ও তার মেয়েরা গৃহবধু নুর নাহারকে এলোপাথারীভাবে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন ওই বাড়ির বাসিন্দা ও পুকুর মালিক ফারুক হোসেনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নুর নাহার ৷
আহত নুরনাহার বলেন শুক্রবার দিবাগত রাতে আমার ঘরের পিছনে পুকুরপাড়ে লোকজনের শব্দ শুনে দরজা খুলে দেখি  বশির ও বেলালসহ কয়েকজন টর্চ লাইট মেরে বস্তায় ভরে মাছ নিয়ে যাচ্ছে৷ আমি ডাক চিৎকার করলে তারা আমার চোখে টর্চ মেরে ধরে রাখে৷
এরপর ভোররাতে আমরা বসিরের ঘরে মাছের বস্তা তল্লাসী করতে গেলে সে দরজা খুলেনি৷ নুর নাহার আরও অভিযোগ করেন তারা আমাকে মারধর করে বলতে থাকে “তোরে এমনভাবে মারবো কোন দাগ থাকবেনা’৷
পরে আমার স্বজনরা  খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ অভিযোগ বিষয়ে কাশেম ফরাজি ও আলম বলেন, নুর নাহারকে তাদের কেউ মারধর করেনি৷ বিষ দিয়ে মাছ নিধন নিয়ে  বশির ও বেল্লালের সাথে কথা কাটাকাটির সময়ে  হাতাহাতি হয়৷ এতে নুর নাহার সামান্য ব্যাথা পেতে পারে৷

ওই পুকুরের মালিক ফারুক হোসেন বলেন আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে বাড়ী ও জমিজমা নিয়ে কাশেম-আলমরা বিরোধ করে আসছে৷ মাননীয় সংসদ সদস্যের নিকট আবেদন করলে তিনি উভয় পক্ষকে সমঝোতা করতে জিন্নাগড় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন৷ কয়েকদফা শালিস বৈঠকে বিষয়টি এখন চুড়ান্তভাবে বিচারাধীন রয়েছে৷        এরইমধ্যে তারা আমার পুকুরে রাতের আধারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে এবং আমার ছোট ভাইয়ের বউ এই ঘটনা দেখে ফেলায় বাড়িতে প্রকাশ্যে  তাকে মারধর করেছে ৷

এ ব্যাপারে আহত গৃহবধু নুর নাহার মারধরের ঘটনায় বিচার চেয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
পুকুর থেকে  উদ্ধার করা মাছ জিন্নাগড় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চরফ্যাশম মাছ বাজারে ১০ হাজার ৩শ টাকা বিক্রি করা হলেও রাতে লুট হওয়া মাছ উদ্ধার হয়নি৷
জিন্নাগড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন মিয়া ও গণমাধ্যমকর্মিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে  পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা পরিদর্শন করেছেন৷
পুকুরে রুই, কাতলা, সিলভারকার্প শৈল,কৈ মিনারকার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মারা গেছে। এতে  পুকুর মালিকের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »