বেতন কমে যাওয়ার কারণে

ডিপিএড সনদ জমা দিতে আগ্রহ নেই অনেক শিক্ষকের

Spread the love

ডিপিএড সনদ জমা দিতে আগ্রহ নেই অনেক শিক্ষকের

আজকের ঝলক নিউজ :

প্রতিটি প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে বেতন বাড়ার দৃষ্টান্ত দেখা হায় হরহামেশাই কিন্তু প্রশিক্ষণ নিলে বেতন কমে- এটা সরকারের অন্য কোনো বিভাগে দেখা না গেলেও প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য এটি একটি চিরাচরিত বিষয়।

আজকের ঝলক প্রতিবেদকের দৃষ্টিগোচর হয়েছেযে বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষক যারা প্রশিক্ষণ করে সনদ পেয়েছেন কিন্তু সনদ জমা দিয়ে বেতন কমাতে চাচ্ছেন্না অনেকে তাই অন্যান্য সকল সনদ জমা দিলেও ডিপিএড প্রশিক্ষণের সনদ শো করছেন না ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক এই প্রশিক্ষণ নিতে হয়। আগে এই প্রশিক্ষণের নাম ছিল সিইনএড (সার্টিফিকেট ইন প্রাইমারি এডুকেশন)। বর্তমানে এ প্রশিক্ষণের নাম ডিপিএড (ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন)। অনেক শিক্ষক এই ডিপিএড সনদকে পিটিআইর ‘হোয়াংহো’ বলেও উল্লেখ করেন। ১৮ মাস হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে অর্জন করা ডিপিএড সনদ নিজেদের সার্ভিসবুকে যুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে যখন একজন শিক্ষকের মূল বেতন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা কমে যায়, তখন কারই বা ভালো লাগবে এই প্রশিক্ষণ নিতে। অথচ চাকরি বাঁচিয়ে রাখতে এই প্রশিক্ষণ অবশ্যই করতে হয় শিক্ষকদের।

জানাগেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৫তম গ্রেডে বেতন দেওয়া হতো। আর ডিপিএড প্রশিক্ষণ নিলে ১৪তম গ্রেডে বেতন পেতেন শিক্ষকরা। গত বছর বছরের জানুয়ারি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন সব সহকারী শিক্ষকের বেতন ১৩তম গ্রেডে নেওয়া হয়। এতে শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া নিম্ন ধাপে বেতন নির্ধারণ হওয়ায় আগে থেকে প্রশিক্ষণ পাওয়া শিক্ষকদের বেতন নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের থেকে কমে যায়। এতে বৈষম্য আরও বাড়ে।

নিয়োগ পাওয়া সকল শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে পিটিআইগুলোতে ডাবল শিফট চালু হয়েছে ।

শিক্ষকরা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে পিটিআইগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরিকালীন দক্ষতার ট্রেনিং নেওয়াকে আবশ্যিক করা হয়। শুরুতে এর নাম ছিল সিইনএড, যা এক বছর মেয়াদি ছিল। পরে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধীনে নিয়ে ১৮ মাসের ডিপিএড ট্রেনিং নাম দেওয়া হয়েছে। ট্রেনিং করে বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর সার্ভিসবুকে এ সনদ যুক্ত করলে বেতন এক গ্রেড বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। অথচ নিম্ন ধাপে শিক্ষকদের বেতন ফিক্সেশনের কারণে মূল বেতন উল্টো কমে যায়। পরের বছর দেখা যায়, একই সময়ে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করা দু’জন শিক্ষকের মধ্যে যিনি ডিপিএড প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তার বেতন প্রশিক্ষণ করেননি এমন শিক্ষকের চেয়ে একটি ইনক্রিমেন্ট কম।

একটি সূত্রে যশোর সদর উপজেলার নালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আলিউল ইসলাম বলেন, চাকরিতে নিয়োগ ২০১৩ সালে। যশোর পিটিআই থেকে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডিপিএড করেন। ২০১৭ সালে ১৪তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ হয় ১১ হাজার ২৫০ টাকা। ৫৬০ টাকা পিপি যোগ করে ২০১৭ সালে মূল বেতন সমন্বয় করা হয়। কিন্তু একই সালে ও একই তারিখে নিয়োগ পাওয়া একই উপজেলার সহকারী শিক্ষক পলিয়ারা খাতুনের চেয়ে ২০১৮ সালে ৫৯০ টাকা, ২০১৯ সালে ৬২০ টাকা ও ২০২০ সালে ৬৫০ টাকা কম পাচ্ছেন তিনি। বাড়িভাড়াসহ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের বেতন অন্তত হাজার টাকার বেশি কমে যাবে। এ বৈষম্যের অবসান চান এই শিক্ষক।

প্রশিক্ষণ করলে বেতনবৃদ্ধি পাওয়ার পরিবর্তে বেতন কমে এতে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার কারণে শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ নিতে বাধ্য হন । তবে এ বিষয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রশিক্ষণ নিলে তো বেতন বাড়ার কথা। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন উল্টো কেন কীভাবে কমে যাচ্ছে, তা আমরা দেখব।

১৩৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭ হাজার ৩শ ৩টি বই বিতরনের জন্য বরাদ্দ

 

https://www.youtube.com/watch?v=3FKpbgOS-Hc&list=RD3FKpbgOS-Hc&start_radio=1

 



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »