বিবাহ মধুর; দাম্পত্য জীবন কেমন হওয়া উচিত ?

সুখি দাম্পত্য জীবন-যাপনের তিন সূত্র

ফেব্রুয়ারি ১১ ২০২১, ২২:১৬

মা শিশুর যত্ন নিচ্ছেন

Spread the love

বিবাহ মধুর; দাম্পত্য জীবন কেমন হওয়া উচিত ?

সুখি দাম্পত্য জীবন-যাপনের তিন সূত্র

আজকের ঝলক : 

দাম্পত্য জীবন

মানুষের পরিপূর্ণ জীবন যাপনে বিবাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । মানব জাতির সম্প্রসারণ হলো বিবাহ বন্ধনের শর্ত । প্রতিটি ধর্মেই বিবাহের বিধান রয়েছে সে বিধান অনুসারে নারী পুরুষ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়, সামাজিক ও আইনগতভাবে একসাথে বসবাস করার অনুমতি লাভ করে এবং স্বাধীনভাবে যৌন মিলনের জন্য উপযুক্ত করে । যেখানে ধর্মীও, সামাজিক ও আইনগত কোনো বাঁধা থাকেনা ।

বিবাহ অত্যন্ত মধুর হলেও দাম্পত্য জীবন বয়ে বেড়ানো বা সুদীর্ঘ করা অত্যান্ত জটিল বিষয় । সারা পৃথিবীতে দাম্পত্য কলোহ একটি ভাবনার বিষয় । পারিবারিক আদালত পাড়া ঘুরে আসলেও দেখা যাবে হাজার হাজার মামলা ঝুলে আছে দাম্পত্য জীবনকে কেন্দ্র করে । এমনকি দাম্পত্য কলোহের জন্য পরিবারের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে ।

নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে নারীরাও কম দায়ী নয়

অনেক ব্যক্তিই বলে থাকেন বিয়ে হলো টয়লেটের মতো যারা ঢুকেছে তারা বের হতে মরিয়া আর যারা লাইনে দ্বাঁড়িয়ে আছে তারা ঢোকার জন্য ব্যস্ত । অধিকাংশ দাম্পত্য কলোহের জন্য পুরষদের শৈরতান্ত্রিক আচরণকে দায়ি করা হলেও নারীতান্ত্রিক পরিবারে নারীর শৈরতান্ত্রিক আরণের জন্যও দাম্পত্য কলোহ বাড়তে পারে ।

বিবাহের বৈধতা : 

আামদের দেশের সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করলে দেখা যাবে পুরুষদের কারণেই অধিকাংশ দাম্পত্য কলোহ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে । যেমন পুরুষরা নিজেদের খুবই স্বাধীন মানুষ হিসাবে বিবেচনা করেন পক্ষান্তরে নারীদের মনে করেন গৃহপালিত কোন প্রাণী যারা ঘরে বসে শিশু পালন, রান্না, কাপড় কাচা ইত্যাদি কাজে মনোনিবেশ করবে । যদিও এর কিছু ব্যতিক্রম আছে তবে তা খুবই কম । ১০% হতে পারে ।

দাম্পত্য জীবের বিনোদনের সুযোগ :

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পুরুষদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা রেয়েছে যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, তাস, দাবা, কেরাম খেলা, সন্ধ্যায় চায়ের আড্ডা, রাজনৈতিক আড্ডা, মাঠে খেলাধুলার সুযোগ, বন্ধুমহলে আড্ডা, অবাদ নেট ও টিভি ব্যবহারের সুযোগ পক্ষান্তরে নারীদের বিনোদনের ব্যবস্থা সীমিত শুধুমাত্র টিভি সিরিয়াল দেখা ছাড়া তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা খুবই কম । বোদায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক নারীর মৃত্যু

যৌবিক চাহিদা :

আমরা জানি যৌন চাহিদা হলে একটি প্রাকৃতি বিষয় । আমাদের দেশের অনেক পুরুষ বিবাহের পরে বিদেশে পারি জমান। দীর্ঘদিন নিজের স্ত্রীকে একা রেখে যান,  আবার একাধিক বিয়ে করার ফলে এক স্ত্রীকে সময় দিতে গিয়ে অন্য স্ত্রীকে কম সময় দেন । দেখা যায় যে প্রাকৃতিক চাহিদার টানে অনেক নারী অন্য পুরুষদের সাথে বিনোদনের সুযোগ নিলে সে বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলোহ তৈরী হয় । যদিও নারী ও পুরুষের চরিত্রগন বিষয় ভিন্নতা রয়েছে যা খুবই সামান্য ।

পুরুষের মুখে শোনা যায় বিয়ের পরে বউকে কিভাবে শাসন করতে হবে তা ভালো জানা আছে  আবার অনেক নারীও এরকম কথা বলে থাকেন যদি তার সখ্য ১%  এর ও কম। বিবাহের পরে দেখা যায় নারী পুরুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী হয় । তাই শৈরতান্ত্রিক চিন্তা বাদ দিতে হবে সবার আগে ।

দাম্পত্য জীবন সুখি হতে হলে ৩ সূত্র কাজে লাগাতে হবে । 

১. সম্পর্কের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা :

কাজের জন্য বা জীবনযাপনের জন্য স্বামী ও স্ত্রী বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হতে পারেন । উভয় আলাদা আলাদা পরিবেশে বড় হওয়ার কারণে মূল্যবোধগুলোও আলাদা তাই সম্পর্কের শুরুতে মূল্যবোধ জানার প্রতি মনোযোগ দিন এবং সম্পর্কের উপরে আস্থা ও শ্রদ্ধা রাখার চেষ্টা করুন । একে অপরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন খু্বই জরুরী ।

বিশ্বাস না থাকলে আস্থার যায়গা তৈরী হয়না । নারী ও পুরুষের আলাদা লিঙ্গগত পরিবর্তন আছে কিন্তু কাজ ও পোশাকের কোনো আলাদা বৈশিষ্ট্য নেই । তাই একে অপরের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালো বাসা রাখুন ।

২. তিনটি শব্ধ খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে শিখুন :

আমি তোমাকে ভালোবাসি, দুঃখিত ও ধন্যবাদ । যখন কোনো কারণে মন খারাপ থাকে, কোনো  দিবস থাকে, আনন্দের কোনো মুহুর্ত থাকে, বিশেষ কোনো প্রাপ্তি থাকে সেখানে মুখ খুলে বলতে শিখুন আমি তোমাকে ভালোবাসি

বাহিরের কোনো আচরণ বা নিজেদের মধ্যে কোনো আচরণের কারনে যদি নিজেদের মধ্যে মন খারাপ হয়ে থাকে তাহলে বলতে শিখুন দূঃখিত আর প্রতিযোগিতা রাখুন কে কার আগে এই শব্দটি বলবেন । ছোট ছোট পাওয়াগুলোতে মন খুলে ধন্যবাদ দিতে শিখুন । সেটা হতে পারে ছোট থেকে ছোট কিছু । ধন্যবাদ তুমি না থাকলে দিনটি এতো সুন্দর হতো না ।

৩. সহানুভূতি নয় সমানুভূতির দিকে মনোযোগ দিন :

সমানুভূতি রাখুন । তার স্থানে নিজেকে ভাবুন । যখন অন্যর দোষগুলো মনে আসবে নিজের দোষগুলো খুঁজতে চেষ্টা করুন । শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিন এমন কোনো শব্দ উচ্চারণ করবেন না যা আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে । যিনি ঘরে থাকেন সে অফিসের কস্টগুলো অনুভব করতে শিখুন ।

আর যিনি অফিসে থাকেন তিনি ঘরে থাকা কাজগুলো অনুভব করতে থাকুন । নিজের কথা  না ভেবে অন্যজনেরটা ভাবুন । কি পেলাম সেটা নাভেবে কি দিলাম সেটা ভাবুন । অন্যজন আপনার জন্য কি করবে তা না ভেবে আপনার করণীয়টা নিয়ে ভাবুন । মুখ থেকে রাগের মাথায় যদি কোনো কথা বলে ফেলেন আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন এমন শব্ধ আপনাকে কেউ বল্লে আপনার কেমন লাগতো !

সকল দাম্পত্য জীবন সুন্দর হোক । https://www.youtube.com/watch?v=-RdGkTO-D2Y&list=RDWGVjKqK_Rpw&index=9

 

লেখক : মোঃ জহিরুল ইসলাম, এল’এল ‘বি । ছবি সংগৃহীত ।

 



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »