স্বাস্থ্যই সকল সুখে’র মূল। শরীর ঠিক তো সব ঠিক। শরীর ‘স্থ থাকলে সব কিছুই ভালো লাগে। সুস্থ দেহ এবং সুস্থ মন- সুস্থ মানসিকতার শিল্প বহন করে। শ’রীর সুস্থ রাখার জন্য আ’মরা কতো কিছুই না করি। শরীরকে সুস্থ এবং মনকে নির্মল রাখার জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা ”অর্থাৎ ব্যায়াম করার গু’রুত্ব অপরিসীম। তেমনি প্র’য়োজনের চেয়ে বেশি শরীর চর্চা করলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে’ পারে। তবে কি পরি’মাণ ব্যায়াম একজন মানু’র জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তা আ’গে জানতে হবে।
শরীরচর্চা কেব’ল শরীরকে নির্দিষ্ট শেপেই রাখে না ব’রং রোগ প্রতিরোধ ক্ষম’তা বাড়ায় এবং সেই সাথে মানসি’ক অবসাদকে দূরে রাখে। একটা বিষয় অ’স্বীকার করার উপায় নেই যে শ’রীর চর্চা স্বাস্থ্যের উপর ইতি’বাচক প্রভাব ফেলে।
গবেষকরা বলছেন ব্যা’য়াম করলে শরীরের পা’শাপাশি মনও অনেক ভা’লো থাকে। আপনি যখন ব্যা’য়াম করার জন্য নিজের শরীর নড়াচ’ড়া করেন তখন সেরো’টোনিনের ম’ত হরমনগুলো শ’রীর থেকে নিঃসৃত হয় যা মন মেজাজ ভা’লো রাখে। ব্যায়াম করলে মেটা’বলিজম বাড়ে সেই সাথে হৃ’দযন্ত্রও ভালো রাখে। এতে’ করে আপনার শরীরে ওজ’নও নিয়ন্ত্রণে থা’কে শরীরে রোগ বালাই এর ঝুঁকিও কমে। বিশেষত যারা হাড় পেশী শক্তিশালী কর’তে চায় তাদের জন্য ব্যায়াম ক’রার বিকল্প নে’ই।
এক’দিনে কি পরিমাণ ব্যায়া’ম করবেন:
প্র’থমেই একটা জিনিস ম’নে রাখতে হবে একেকজনে’র শরীরের গ’ঠন একেক রকম। সে’ই হিসেবে শরী’রচর্চায়ও আসবে ভিন্নতা। আপনি যদি এমন কেউ হন ব্যায়াম কর’তে অভ্যস্ত না হন সেক্ষেত্রে ধী’রে ধীরে ‘শুরু করেন। গবে’ষকরা বলছেন, প্রতি সপ্তাহে ১৫০ থে’কে ৩০০ মিনিট মাঝারি ব্যা’য়াম বা ৭৫ থেকে ১৫০ মি’নিট উচ্চ গতিতে ব্যা’য়াম করা উচিত। পে’শী শক্তিশালী কর’ণের জন্য সপ্তাহে অ’ন্তত দুদিন ব্যায়াম ক’রাও অনেক কষ্টকর।
প্রয়ো’জনের অতিরিক্ত ব্যা’য়াম কখন হয়:
আপনি মনে ক’রতে পারেন কয়েক ঘ’ন্টা জিমে ঘাম ঝরালে তা আ’পনার জন্য উপকারী্ প্র’ত্যেক ব্যক্তির হি’সেবে ব্যায়ামের ধরণে পার্থক্য হবে। উদাহরণস্ব’রুপ অ্যাথলেটদের প্র’দিন কয়েক ঘ’ন্টা জিমে ব্যয় করতে হ’য় কারণ এটি তাদে’র জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আপ’নার আমার এ’ত সময় নেই। যারা খা’ওয়ার সমস্যায় ভু’গছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যা’খ্যা ভিন্ন হতে পারে।
তবে প্র’য়োজনের অতিরিক্ত ব্যা’য়াম করলে শরীরে কিছু লক্ষ’ণ দেখা দেবে। যেম’ন- হৃদস্পন্দন বে’ড়ে যাওয়া, ক্ষুধা ক’মে যাওয়া, পায়ে অস্থিরতা, ডিহা’ইড্রেশন, ঘুম কম হওয়া বা ই’নমসনিয়ায় ভোগা, মেজাজ খিটখি’টে, হাড় ‘দূর্বল হ’য়ে যাওয়া ও তী’ব্র ক্লান্তি বো’ধ করা।
আবার অ’নেক ক্ষেত্রে প্রয়ো’জনের চেয়ে বেশি ব্যায়া’ম করলে ক্ষুধা বা’ড়ে সেক্ষেত্রে বেশি ‘খাওয়া হয়ে যা’য়, এম’নকি অনেক সময় হরমো’নের ভারসাম্যহীনতাও দে’খা দেয়।