জেলে পরিবারে আবাসন, নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিস্কাশন সুবিধা

জানুয়ারি ১৫ ২০২১, ১১:৩৮

Spread the love

ক) আবাসন পরিস্থিতি
গ্রামের বাড়িগুলো মূলত টিনের চালা ঘর; এই টিনের ঘরগুলোকে আবার ক্ষুদ্র টিনের চালা এবং মাঝারি টিনের চালা এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। দেখা গেছে জেলেরা স্থায়ীত্ব এবং বাতাসের বিপরিতে সুরক্ষার কারণে তাদের ঘরের চালা হিসেবে টিন বেশি পছন্দ করে। উপরন্তু, আজকাল বাঁশ এবং ছনের তুলনায় টিনের দাম কম। অধিকাংশ জেলে পরিবারই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কিংবা সরকার কর্তৃক নির্মিত গুচ্ছ গ্রামে বসবাস করে কারণ তাদের নিজেদের কোন জমি নেই কিংবা জমি কেনার সামর্থ্যও নেই। এসব জেলেরা ভোলা জেলার স্বাভাবিক বিষয় নদী ভাঙ্গনের কারণে প্রায়শই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তাদের বসতি স্থানান্তর করে। এই জন্যই তারা চালা হিসেবে টিন পছন্দ করে কারণ এটা প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্যত্র দ্রুত স্থানান্তর করা যায়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, অধিকাংশ উত্তরদাতাই ক্ষুদ্র টিনের চালা ঘরে বসবাস করে এবং শুধু মাত্র ৪০% জেলেদের নিজেদের বসত ভিটা আছে এবং ৬০% জেলেদের নিজেদের কোন জমি নেই এবং তারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কিংবা গুচ্ছ গ্রামে বসবাস করে।

খ) নিরাপদ পানির সুবিধাঃ
এটি একটি ভাল দিক যে, ১০০% পরিবার টিউবওয়েলের পানি পান করে। অধিকাংশেরই নিজস্ব টিউবওয়েল না থাকলেও তারা প্রতিবেশীদের এবং স্বল্প দুরত্বে অবস্থিত স্কুল এবং মসজিদে সরকার কর্তৃক স্থাপিত টিউবওয়েল থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ করতে পারে। ভোলায় ৬০ জন জেলের মধ্যে শুধু মাত্র ৪ জনের নিজস্ব টিউবওয়েল ছিল এবং বাকি ৫৬ জন জেলে প্রতিবেশীদের এবং সরকারী টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করে থাকে। জেলেরা যখন নদীতে মাছ ধরতে যায় তখন খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিশের সাথে তারা খাবার জন্য প্লাস্টিকের পাত্রে করে টিউবওয়েলের পানি নিয়ে যায়।

জ) পয়ঃনিস্কাশন সুবিধাঃ
জেলেদের পয়ঃনিস্কাশন সুবিধা খুবই নগন্য, ৭৪% পায়খানাই কাঁচা এবং ২২% পায়খানা আধা-পাকা যা এখানকার জেলেদের দরিদ্র আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং নিম্ন আয়ের পরিপ্রেক্ষিতকেই তুলে ধরে। এছাড়াও দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ শিশুরাই খোলা স্থানে মল-মূত্র ত্যাগ করে।

 

মোঃ জহিরুল ইসলাম

উন্নয়ন কর্মী



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »